মোদীর পতন শুরু হয়েছে, কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল
প্রথম থেকেই কৃষকদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস৷ দিল্লি সীমান্তে গিয়ে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে আসেন তৃণমূল সাংসদরা৷ তিন আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে যান কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত৷ ফলে কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে স্বভাবতই খুশি তৃণমূল৷
সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট মোদীর পতনের শুরু হয়ে গেছে৷ ফেব্রুয়ারি মাসে যে রাজ্যগুলিতে নির্বাচন আছে, সেখানে নিজেদের হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷’ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদের আরও দাবি, শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেই হবে না৷ জনসমক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে যে ৭৫০ জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে৷
সাংসদ বলেন, লখিমপুর খেরিতে যে নারকীয় হত্যাকান্ড হল, তার বিচার পায়নি মৃত কৃষকদের পরিবার। বিশ্বব্যাপী নিন্দা হওয়ায় লোক দেখাতে মন্ত্রীর ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মাত্র।
সাংসদ বলেন, এই আইন প্রত্যাহার গণতন্ত্রের জয়, শুভ বুদ্ধির জয়।