রাজস্থানের সব মন্ত্রীর একসঙ্গে পদত্যাগ, গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব মেটাতে নয়া পদক্ষেপ কংগ্রেসের
রাজস্থানে অশোক গেহলট-শচীন পাইলট (Sachin Pilot) দ্বন্দ্ব মেটাতে নয়া পদক্ষেপ করল কংগ্রেস। সব ঠিক থাকলে রবিবারই আমূল বদলে যাবে সেরাজ্যের মন্ত্রিসভা। সূত্রের খবর, গেহলট ঘনিষ্ঠদের সরিয়ে মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন শচীন পাইলট ঘনিষ্ঠ একাধিক নেতা। মন্ত্রিসভার রদবদলের একদিন আগে রাজস্থানের সব মন্ত্রী একসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন।
কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, দিল্লির নেতাদের হস্তক্ষেপ এবং শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলটের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনার পর দুই শিবিরকে অনেকটাই শান্ত করা গিয়েছে। মিলেছে রফাসূত্র। শচীন পাইলটের সঙ্গে এআইসিসির নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) সঙ্গেও একাধিকবার কথা বলেছেন দিল্লির কংগ্রেস নেতারা। তারপরই মন্ত্রিসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত। রফাসূত্র অনুযায়ী, আপাতত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন গেহলটই। তবে, মন্ত্রিসভায় আগের থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা পাবেন পাইলট ঘনিষ্ঠরা। আর পাইলটকে সর্বভারতীয় স্তরে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হবে।
এই মুহূর্তে রাজস্থান মন্ত্রিসভায় সদস্যের সংখ্যা ২১। সব মন্ত্রীই পদত্যাগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী গেহলট মোট ৩০ জন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়ে পারবেন। এর মধ্যে অন্তত ৬-৮ জন পাইলটের পছন্দ করা নেতাদের মধ্যে হতে চলেছে। আবার ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় যে ৬ জন বিএসপি বিধায়ক সদলবলে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যেও ২-১ জন মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। এবার মন্ত্রিসভার রদবদলের সময় এক ব্যক্তি-এক পদ সূত্রে ভরসা রাখবে কংগ্রেস। তাই যাদের মন্ত্রী করা হবে তাঁরা দলে বড় পদ পাবেন না। আবার যারা মন্ত্রিসভা থেকে সরবেন তাঁরা দলে বড় পদ পাবেন।
নতুন এই রফাসূত্রে কংগ্রেস রাজস্থান সমস্যার আপাত সমাধান করে ফেলল বলেই দাবি করছে এআইসিসি (AICC)। ২০২৩ সালে ফের বিধানসভা নির্বাচন রাজস্থানে। তার আগে কংগ্রেস চাইছে ঘর গুছিয়ে নিতে। অন্তত যাতে বাইরে দলের ঐক্যের ছবি দেখানো যায়।