তৃণমূলে যোগ দিলেন শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম সহ বিষপানকারী ৫ শিক্ষিকা
দু’দিন আগেই শোনা গিয়েছিল সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন প্রতিবাদী শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম (Maidul Islam) এবং বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচ শিক্ষিকা। ৪৮ ঘণ্টা পরই সেই জল্পনায় সিলমোহর। রবিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন তাঁরা। এছাড়াও এদিন শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের রাজ্যের প্রত্যেক জেলা থেকে ১৫ জন করে মোট ৩০০ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২ হাজার সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ডায়মন্ড হারবারে (Diamond Harbour) তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ব্রাত্য বসু।
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর শিক্ষক নেতা মইদুল ইসলাম বলেন, “পেশাগতভাবে লড়াই করেছিলাম। আন্দোলন করেছি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। সরকার বলেছে আন্দোলন নয়, আলোচনার মাধ্যমে আসতে। দাবি ন্যায্য হলে অবশ্যই দেখা হবে। হঠকারী আন্দোলন করেছিলাম তা বুঝেছি। বিজেপি, বামপন্থী ও অন্যান্য দলগুলি ফায়দা লুটেছে। সংবাদমাধ্যমের সামনে পাশে থাকার কথা বললেও কাউকেই আমরা পাশে পাইনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে তৃণমূলে যোগ দিলাম। বুধ বা বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সময় দিয়েছেন। ওইদিন আলোচনা হবে।” আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের গলাতেও একই সুর। পেশার স্বার্থে হঠকারী সিদ্ধান্তে আন্দোলন করেছিলেন বলেই দাবি তাঁদেরও।
উল্লেখ্য, গত ১৮ আগস্ট শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের (SSK) পাঁচ শিক্ষিকাকে বহু দূরে বদলির জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কলকাতা কিংবা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার শিশুশিক্ষা কেন্দ্র থেকে সরিয়ে তাঁদের উত্তরবঙ্গে বদলি করে শিক্ষাদপ্তর। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। শিক্ষাদপ্তরের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েও লাভ না হওয়ায় তাঁরা বিকাশ ভবনের সামনে অনশন শুরু করেন।
গত ২৪ আগস্ট আন্দোলনরত ওই ৫ শিক্ষিকা বিকাশ ভবনের সামনেই বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁদের মধ্যে পুতুল মণ্ডল-সহ ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালেও ভরতি করা হয়। বর্তমানে সকলেই সুস্থ রয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়। তাঁদের বিরুদ্ধেই আইনভঙ্গের অভিযোগে মামলা দায়ের করে পুলিশ। অন্যদিকে প্রতিবাদে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কালীঘাটের বাড়ির কাছে আদিগঙ্গায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন মইদুল ইসলাম। রবিবার সেই আন্দোলনকারীরাই যোগ দিলেন তৃণমূলে।