ত্রিপুরায় চূড়ান্ত নৈরাজ্য, জঙ্গলরাজ চলছে, আগরতলায় পৌঁছে বললেন অভিষেক
আজ আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘এখানে গণতন্ত্রের স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করা হচ্ছে। হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আসলে ওরা আগরতলার মানুষকে ভয় দেখাতে চাইছে। আমি বলব, যা বলার আমাদের বলুন। আগরতলার মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। তাঁদের এভাবে আক্রমণ করবেন না।’’
তৃণমূলের যুবনেতা সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা প্রসঙ্গে অভিষেক বললেন, ‘‘সায়নী কী এমন করেছিল যে ওকে গ্রেফতার করা হবে! স্লোগান দিয়েছিল। ‘খেলা হবে’ বলে স্লোগান দিয়েছিল। তেমন স্লোগান তো নরেন্দ্র মোদীও দিয়েছিলেন। তবে কি মোদীকেও গ্রেপ্তার করা হবে?’’
সোমবার সকাল ৯টার বিমানে ত্রিপুরার উদ্দেশে রওনা হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারের কারণে রবিবার রাতেই ত্রিপুরা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অভিষেক। বিমানের অবতরণগত আইনি জটিলতার কারণে শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়।
পুরভোটের আগেই তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষকে ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগে রবিবার আগরতলার মহিলা থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। তৃণমূল নেতারা যখন থানায় ছিলেন, সেই সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদযাত্রার অনুমতি না দিলেও ত্রিপুরায় পথসভার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকালে তৃণমূলের তরফে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ত্রিপুরা সরকারের দেওয়া একটি প্রশাসনিক চিঠি টুইট করেছেন। তাতে ত্রিপুরা সরকার জানিয়েছে, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতির জন্য পদযাত্রার অনুমতি না দেওয়া হলেও তৃণমূল পথ সভা করতে পারে। এদিকে, অনুমতি পেলেও পথসভা করবেন না, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভিষেক।