কৃষকদের খালিস্তানিদের সঙ্গে তুলনা, কঙ্গনার বিরুদ্ধে দায়ের এফআইআর
কঙ্গনা রানাউত এবং বিতর্ক যে সমর্থক শব্দে পরিণত হয়েছে, তা আর নতুন করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। মঙ্গলবার ফের কাঠগড়ায় বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন। কৃষক আন্দোলনকে খালিস্তানি বিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করায় মুম্বইয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর।
গুরু নানকের জন্মদিনে বিরাট ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi)। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন (Farm Law) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। সাফল্য পায় কৃষকদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন। আর সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া পড়ে যায় দেশজুড়ে। তবে এই সিদ্ধান্তকে একেবারেই মানতে পারেননি কঙ্গনা। অভিনেত্রী ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, “দুঃখজনক, লজ্জাজনক ও সম্পূর্ণ অন্যায়। সংসদে নির্বাচিত সরকারের পরিবর্তে যদি রাস্তায় বসে থাকা লোকেরাই আইন বানাতে শুরু করে, তাহলে মানতেই হবে এটা একটা জেহাদি দেশ।” এরপরই কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, “তাঁদের সকলকে অভিনন্দন যাঁরা এটা চেয়েছিলেন।”
এখানেই শেষ নয়, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কৃষকদের এই প্রতিবাদকে খালিস্তানি আন্দোলনের সঙ্গে তুলনা করতেও ছাড়েননি তিনি। এমনকী খালিস্তানিদের তুলোধোনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো বোমা ফাটিয়েছিলেন। আর সেই কারণেই এবার মুম্বইয়ে শিখ সম্প্রদায়ের অমরজিৎ সান্ধু নামের এক ব্যক্তি কঙ্গনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ‘খালিস্তানি’দের নিয়ে একটি পোস্ট করেন কঙ্গনা। নাম করে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে লেখেন, “তিনি খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুড়িয়ে দিয়েছিলেন।” এরপরই যোগ করেন, “খালিস্তানি জঙ্গিরা আজ ফের মাথা তুলতে শুরু করেছে। কিন্তু একজন মহিলাকে ভুলে গেলে চলবে না। তিনি একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী… জিস নে ইনকো আপনি জুতি কে নিচে কুচল দিয়া থা। তার জন্য এই দেশকে কতখানি অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে, সেটা বড় কথা না, কিন্তু নিজের জীবনের বিনিময়ে ওদের মশার মতো মেরেছিলেন।” কঙ্গনা আরও লেখেন, “এক যুগ পরেও তাঁর নামে কাঁপে ওঁরা (খালিস্তানিরা)… সেই ভয় কাটাতে ওঁদের একজন গুরুর প্রয়োজন।” অমরজিতের দাবি, এভাবে শিখদের অপমান করা হয়েছে। পুলিশ যেন তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করে।