মমতার সঙ্গে দেখা করলেন আডবাণী ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি, বাড়ছে তৃণমূলে যোগের জল্পনা
এবার কি তৃণমূলের পথে অটলবিহারী বাজপেয়ী-লালকৃষ্ণ আডবানী-নীতিন গড়কড়ি ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নি। মঙ্গলবার দিল্লিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পরই বেড়েছে জল্পনা। যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। আর সুধীন্দ্র কুলকার্নির প্রতিক্রিয়া, “এই সাক্ষাতের অর্থ আপনারাই বুঝে নিন।” দিল্লির ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজনৈতিক কৌশলীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে জল্পনা সত্যি করে এদিন তৃণমূলে যোগ দিলেন জেডিইউর প্রাক্তন সাংসদ পবন ভার্মা। দলবদলের পরই তিনি জানালেন, “দলনেত্রী যে দায়িত্ব দেবেন তাই পালন করব। ২০২৪ সালে দিদি দিল্লির ক্ষমতা সামলাতেই পারেন। “
চারদিনের সফরে দিল্লি গিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ক’দিন ঠাসা রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। সেই সফরের দ্বিতীয় দিনে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন দুই বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব-জাভেদ আখতার এবং সুধীন্দ্র কুলকার্নি। ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১ ঘণ্টা কথাবার্তা হয়। তবে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, বর্তমান সামাজিক, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। রাজনৈতিক মহলে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোর বিরোধী হিসেবে পরিচিত সুধীন্দ্র।
দিল্লির রাজনৈতিক মহলে কান পাতলেই শোনা যায়, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন সুধীন্দ্র। এমনকী, তাঁর বক্তব্যও লিখে দিতেন তিনি। ২০০৮ সালে বিজেপি থেকে সরে এসেছিলেন। পরবর্তী কালে লালকৃষ্ণ আডবানীর রাজনৈতিক কৌশলী হিসেবেও ফের কাজ শুরু করেন। ২০১২ সাল নাগাদ নীতীন গড়কড়ির হয়ে কাজ করেছেন সুধীন্দ্র। কিন্তু ২০১৪ সালে বিরোধের সূত্রপাত। তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন সুধীন্দ্র। উলটে সরাসরি রাহুল গান্ধীকে সমর্থন করেছিলেন তিনি। এর পর থেকেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তাঁর। এমন পরিস্থিতিতে সুধীন্দ্র কুলকার্নির তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে সাক্ষাৎ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।