‘খেলা হবে’ শব্দই মাতাচ্ছে বিধায়ক স্বপন দেবনাথ অভিনীত যাত্রাপালার আসর
মাত্র দু’টি শব্দের স্লোগানই একুশের নির্বাচনী যুদ্ধ জয়ে হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের। খেলা হবে স্লোগান নিয়েই এখন উত্তাল ত্রিপুরার রাজ্য রাজনীতি। সেই ‘খেলা হবে’ শব্দই মাতাচ্ছে যাত্রাপালার আসর। সামাজিক কাহিনিতে প্রবেশ ঘটেছে বর্তমান রাজনৈতিক এই স্লোগান। প্রতিবাদের ভাষা হিসেবেই মঞ্চে ‘খেলা হবে’ ডায়ালগ উচ্চারিত হচ্ছে এক কৃষক সমাজের প্রতিনিধির কণ্ঠে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্বস্থলী দক্ষিণের বিধায়ক স্বপন দেবনাথ অভিনীত যাত্রাপালায় বিভিন্ন মঞ্চে হিট এই ডায়ালগ।
মন্ত্রী অভিনীত যাত্রাপালার নাম, ‘কান্না ভেজা মায়ের আঁচল’। আর এই স্লোগানের জেরেই যাত্রাপালার বায়না বেড়েছে বলে দাবি করছেন তিনি। শ্রী চৈতন্য অপেরা প্রযোজিত এই পালা ইতিমধ্যেই ৯টি জায়গায় মঞ্চস্থ হয়েছে। সেখানে যাত্রার এক দৃশ্যে দেখা যাচ্ছে, একজন কৃষক তাঁর সংলাপে জোতদার-জমিদারদের উদ্দেশে বলছেন, ‘কৃষকের অধিকার যখন হরণ হবে, তখন খেলা হবে। গরিব কৃষককে যখন তাঁর মাটি থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হবে, তখনও খেলা হবে।’
সুতরাং, এখানে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে যাত্রায় ব্যবহার করা হয়েছে ‘খেলা হবে’ স্লোগান। শুধু চমকের জন্য নয়, যাত্রার ডায়ালগের ঝাঁঝ বাড়ানোর প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছে এই স্লোগান। তবে কাহিনির প্রয়োজনে যাত্রার শুরুর দিকে আরও বেশ কয়েকবার খেলা হবে সংলাপ বলতে চাইছেন মন্ত্রী। তিনি এই পালায় সমাজসেবীর অভিনয় করছেন। আগামী বেশ কয়েকটি অভিনয়ে সেই ইচ্ছাও পূরণ হবে বলে আশাবাদী তিনি।
স্বপনবাবু বলেন, সমাজের শোষিত বঞ্চিতদের কথা উঠে আসে যাত্রায়। এক একটি পালার বিষয় এক এক রকম হয়। ‘কান্না ভেজা মায়ের আঁচল’ পালায় খুব আদৰ্শ এই ডায়ালগ। নারী ও কৃষকের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই এই যাত্রাপালার বিষয়। খেলা হবে স্লোগান এখানে প্রতিবাদের কণ্ঠ। দেশের কৃষক সমাজ সবসময় বঞ্চিত। তাঁরা লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনলেন। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের যাত্রায় একটি দৃশ্যে ‘খেলা হবে’ সংলাপ রাখা হয়েছে।