ত্রিপুরার ঘটনায় তাঁর জন্য সোচ্চার মমতাসহ তৃণমুল নেতৃত্ব, সোশ্যাল মিডিয়ায় কৃতজ্ঞতা জানালেন সায়নী
গত কয়েকদিনে তাঁকে ঘিরে উত্তাল বাংলা সহ ত্রিপুরার রাজনীতি। সমর্থনে, ভালোবাসা উচ্ছ্বসিত তৃণমূল যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। কলকাতা ফিরে ফেসবুক পোস্টে দিলেন কৃতজ্ঞতার বার্তা। একইসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশে মাথা নত না করার কড়া হুঁশিয়ারি। ফেসবুকের পোস্টের শুরুতেই যুবনেত্রী সায়নী লিখেছেন, ‘মা মাটি মানুষের লড়াই বাঙালীর আত্ম সম্মানের লড়াই, এই লড়াই অবহেলা ভেঙে ন্যায় অধিকার বুঝে নেওয়ার।। আমি মশাল ধরেছি শুধু।। অগণতান্ত্রিক ভাবে মা মাটি মানুষের আত্ম সম্মানে আঘাত করতে চেয়েছিল যারা, তারা আসলে বোঝে নি আমাদের লড়াই এত সহজে দমিয়ে দেওয়া যায় না, যায় নি অতীতে, যাবে না ভবিষ্যতেও!’
পুরভোট নিয়ে উত্তপ্ত ত্রিপুরায় দলের কাজে গিয়ে আটক হন Saayoni Ghosh। বিপ্লব দেবের পুলিশের হাতে তৃণমূলের যুব নেত্রী সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারির আঁচ পৌঁছায় রাজধানীতেও। তাঁর গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে ত্রিপুরায় জোড়াফুলের প্রতিবাদ ছাড়াও সমান্তরালভাবে বাংলাতেও চলেছে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। যুব নেত্রীর গ্রেপ্তারির খবর পেয়েই ত্রিপুরায় ছুটে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সুখেন্দুশেখর রায় সহ ১৭ জন তৃণমূল সাংসদ দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাধ্য করেন তাদের কথা শুনতে। সোচ্চার হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। প্রায় ২৪ ঘণ্টার তীব্র টানাপোড়েনের পর অবশেষে ত্রিপুরা আদালত থেকে জামিন পান সায়নী।
ফেসবুক পোস্ট থেকেই স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমো Mamata Banerjee এবং তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের প্রভাব কতটা গভীর সায়নীর জীবনে। তাঁর পরনেও তৃণমূল সু্প্রিমোর প্রবাব স্পষ্ট। তিনি লিখেছেন, ‘একান্ত ধন্যবাদ জানাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে, তাদের সহযোগিতা আমার এগিয়ে চলার সাহস। সকলের প্রার্থনায়, ভালোবাসায় আজ আরও উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পেলাম এটুকু বলতে পারি।। ধন্যবাদ জানাই সেই প্রত্যেক জন মানুষকে, যারা বিজেপির এই স্বৈরাচারে আহত হয়েও হার মেনে নেননি!’
এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের অগণিত কর্মী সমর্থকদেরও আলাদা করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেত্রী। সায়নী লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ জানাই আমার প্রত্যেক বিধায়ক, সাংসদ, আমার সহকর্মী বৃন্দ, আমাদের সর্ব স্তরের নেতৃবৃন্দ যারা জেলায় জেলায় আমার সমর্থনে পথে নেমেছেন , তাদের। ধন্যবাদ বাংলা ও ত্রিপুরার মা মাটি মানুষ, তৃণমূল কংগ্রেস, তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রত্যেক জন সদস্য, দুই রাজ্যের হার না মানা সংগঠন, আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, প্রমুখদের। সকলের সহযোগিতায় আজ আমাদের লড়াই আরও শক্তিশালী, আমাদের প্রতিবাদ আরও সোচ্চার।। সত্যের জয় হয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই হবে।’
বিতর্কের সূত্রপাত, রবিবার সকালে। তৃণমূল নেতাদের হোটেলে পুলিশি হানার অভিযোগ তোলেন Kunal Ghosh। একইসঙ্গে সায়নী ঘোষদের হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে। খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০৭ জামিন অযোগ্য ধারায় সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা হয় আগরতলায়। রবিবার বিকেলে গ্রেফতার হওয়ার পর রাতে পুলিশ লকআপেই কাটাতে হয় তৃণমূলের যুব সভানেত্রীকে। পরে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি খারিজ করে সায়নীর জামিন মঞ্জুর করে আদালত।