এবার তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী? মমতার সঙ্গে সাক্ষাতে বাড়ছে জল্পনা
সম্প্রতি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লাগাতার সরব হয়েছেন বিজেপির ‘বিক্ষুব্ধ’ সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী (Subramanian Swamy)। এবারের দিল্লি সফরে সেই বিজেপি সাংসদের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। দু’জনের মধ্যে আধঘণ্টা কথা হয়। তবে কী বিষয়ে দুজনের মধ্যে কথা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। বেরিয়ে অবশ্য তিনি বলেন, “মমতার সঙ্গে তো বরাবরই আছি। প্রথম থেকেই আছি।”
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। তার পর থেকেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে নিজেদের মাটি শক্ত করতে ঝাঁপিয়েছে ঘাসফুল শিবির। আর এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাইরে তৃণমূল নেত্রীর সফর মানেই নতুন কিছু প্রাপ্তি। এবারের দিল্লি সফরেও একের পর এক সর্বভারতীয়স্তরের নেতা, বিশিষ্ট ব্যক্তি তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। এবারের দিল্লি সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আরও শক্ত করতে যোগ দিলেন ভারতের জাতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ, হরিয়ানার প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অশোক তানওয়ার এবং প্রাক্তন জেডিইউ সাংসদ পবন বর্মা। সাক্ষাৎ করেছেন বাজপেয়ী-আডবাণী ঘনিষ্ঠ সুধীন্দ্র কুলকার্নিও। এবার সেই তালিকায় যোগ হল সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর নামও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) কড়া সমালোচক প্রবীণ সুব্রহ্মণ্যম। বিশেষ করে কেন্দ্রের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে বরাবরই সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। গত আগস্টে টুইটারে তিনি মোদীকে তোপ দেগে লেখেন, মোদী ভারতের রাজা নন। সেই সঙ্গে দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নীতির সমালোচনা করার অধিকার রয়েছে তাঁর। এছাড়া বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের বিরুদ্ধেও সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
আসলে দু’বার মন্ত্রিসভার দায়িত্ব পেলেও মোদীর নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। সমালোচকদের দাবি, সেই কারণেই তিনি এভাবে সরব কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। এর আগেও পছন্দের মন্ত্রক না পেয়ে সরকারের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। পরে দলের ৮০ সদস্যের কার্যসমিতির কমিটির তালিকা থেকেও বাদ পড়েন তিনি। এর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর এই সাক্ষাৎ ঘিরে বেড়েছে জল্পনা। তাহলে কংগ্রেস থেকে বিজেপি ঘুরে এবার কি তৃণমূলের পথে বিক্ষুধ্ব বিজেপি সাংসদ, উঠছে প্রশ্ন।