মোদী সরকারের কাছে কৃষকদের প্রাপ্য সার দেওয়ার দাবি জানালেন কৃষিমন্ত্রী
বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের তরফে বিভিন্ন বিষয়ে দাবিও জানানো হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রীরাও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছেন। তারপরও কেন্দ্র যে বঞ্চনা করেই চলেছে, সেই তথ্য তুলে ধরলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে রাজ্যের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন তিনি। কৃষকদের স্বার্থে বাংলার প্রাপ্য সার আগামী মাসের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ভার্চুয়াল বৈঠক হয়। তাতে দেশের একাধিক রাজ্যের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। বৈঠকে বাংলার কথা তুলে ধরেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেশ করেন তিনি।
ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) এবং মিউরিয়েট অফ পটাশ (এমওপি) নিয়ে দাবি জানিয়েছে রাজ্য। আলু, বোরো ধান-সহ বিভিন্ন চাষের ক্ষেত্রে এই সার ব্যবহার করা হয়। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে বলা হয়েছে, ডিএপি অক্টোবর মাসে ৪৩৭৩৫ মেট্রিক টনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫৭৩৪ মেট্রিক টন। নভেম্বর মাসে ৪৩৭২৫ মেট্রিক টনের মধ্যে প্রদান করা হয়েছে ৭৬৬৫ মেট্রিক টন। গত দু’মাসে বঞ্চনা এমওপি নিয়েও। এদিনের বৈঠকে রাজ্য কেন্দ্রকে জানায়, এমওপি অক্টোবরে ৩৯৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭৯৫৫ মেট্রিক টন। আর নভেম্বরে ৩৯৫৮০ মেট্রিক টনের মধ্যে বাংলা পেয়েছে মাত্র ৫২৯৩ মেট্রিক টন।
এখানেই রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র বলেছিল সব সার দিয়ে দিয়েছি। তা আদৌ সত্য নয়। তাই বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে। সার নিয়ে বঞ্চনা করেই চলেছে কেন্দ্র। খারিফ মরসুমে কেন্দ্র ৫০ ও ৩৭ শতাংশ সার দিয়েছিল।
এই অবস্থায় কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী দাবি জানান, চলতি বছরের শেষ দু’মাসে বকেয়া থাকা সার অবিলম্বে পরিষোধ করুক কেন্দ্র। ঘাটতি কেন্দ্র মিটিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এখন দেখার কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল থাকে কি না। এদিনের বৈঠকে রেল সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সার যেখানে কেন্দ্র দিয়ে যাচ্ছে, তাতে দূরত্বের বিচারে জেলার জেলায় পৌঁছতে বাড়তি পরিবহণ খরচ হয়ে যাচ্ছে রাজ্যের। তাই কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী দাবি করেছেন, নির্দিষ্ট ভাগে জায়গা ভাগ করে কেন্দ্র সার দিয়ে যাক, তাতে সুবিধা হবে।