ত্রিপুরায় বিজেপির সন্ত্রাসের জবাব আগামীকাল ভোটাররাই দেবে বলে আশা সুবল ভৌমিকের
রাজনৈতিক হিংসাতো বটেই সাম্প্রদায়িক হিংসা ভয়াবহভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ত্রিপুরা(Tripura) রাজ্যে। এসব কিছুর মাঝেই রাত পোহালে পুরসভা নির্বাচন আগরতলায়। এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি সবকটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল(TMC)। যদিও হিংসাত্মক আক্রমণের মাধ্যমে তৃণমূলকে থামাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি বিজেপি(BJP)।
ত্রিপুরার তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক( subal bhowmik ) বুধবার বলেন, বহু জায়গায় তৃণমূল প্রার্থীদের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসা হয়েছে। তারপরও ১০০ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছি আমরা।
তিনি এদিন অভিযোগ করেন, আমাদের কাছে স্পেসিফিক খবর আছে বেশ কিছু গাড়িকে ইতিমধ্যেই মার্কিং করে পুলিশের কাছে তার ইনফরমেশন দেওয়া হয়েছে। যাতে এই গাড়ি গুলিকে কোনওভাবেই পুলিশ না ধরে। এমনকি ভোটারদের কাছে তিনি আহ্বান জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মানুষ যাতে তার নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার নির্দ্বিধায় প্রয়োগ করেন।
তারপরও গতকাল রাত থেকে শহীদ ভগৎ সিং হোস্টেলে প্রচুর বাইরের ছেলেপুলে জড়ো করা হয়েছে। ঊষাবাজারে মোহনপুর থেকে প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে জড়ো করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । এমনকি ঊষানগরের নতুনবাজারে বিজেপির জেনারেল সেক্রেটারির বিল্ডিং আছে , সেখানেও প্রায় শতাধিক লোক জড়ো করা হয়েছে।
তাঁর আরও অভিযোগ, বিজেপিকে কাউকে ভোটার স্লিপ দেয়নি ইচ্ছে করে। তিনি হাতজোড় করে ভোটারদের কাছে আবেদন জানান, যাতে তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে নিজের নাম বলেন। প্রিসাইডিং অফিসার বাধ্য , ভোটার লিস্ট দেখে ভোটারের নাম বের করে ক্রমিক নম্বর দেখে তাকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
তারা আরও অভিযোগ, হিউম্যান রাইটস কমিশন থেকে বলা হয়েছিল কুড়ি তারিখের মধ্যে কোনও কমপ্লেন থাকলে জমা দেওয়ার। অথচ আজকে ২৪ তারিখ তার নোটিফিকেশন বার করেছে সরকার । এখন কেউ কোনও কমপ্লেন দিলেও সেটা গ্রহণ করবে না হিউম্যান রাইটস কমিশন। আগরতলায় বিজেপির কিছু নেই সব বাইরে থেকে নিয়ে এসে তাণ্ডব করছে ভয় দেখাচ্ছে যাতে আমাদের কর্মীরা রাস্তায় না নামেন। কিন্তু ভোটাররাই আগামীকাল ভোট দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
শুধু তাই নয়, ত্রিপুরা ধরে চলা সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। লাগাতার ভয়াবহ হিংসার জেরে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে। এই সরকার রাজ্যজুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করছে। ধর্মের বিরুদ্ধে ধর্ম, জাতির বিরুদ্ধে জাতিকে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। শাসকদল চাইছে এই রাজ্যের মানুষ ভয়ের মধ্যে থাকুক। আর সেই জন্যই এরা হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করছে।