শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত! কঙ্গনাকে তলব দিল্লির অ্যাসেম্বলি প্যানেলের
এবার দিল্লির অ্যাসেম্বলি প্যানেলের সামনে ডাক পড়ল কনট্রোভার্সি কুইন কঙ্গনা রানাওয়াতের। আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) নেতা রাঘব চাড্ডার (Raghav Chadha) নেতৃত্বে তৈরি হওয়া একটি কমিটির সামনে Kangana Ranaut-কে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে আগামী ৬ ডিসেম্বর। শিখ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তাঁর বিরূপ মন্তব্যের জেরে যে শান্তি ও শৃঙ্খলায় প্রভাব পড়েছে তারই জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে নায়িকার থেকে।
ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার জন্য FIR দায়ের করা হয়েছে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের নামে। মঙ্গলবার মুম্বইয়ের খর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শিখ সম্প্রদায়ের এক যুব নেতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে সমাজ মাধ্যমে (Instagram) একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তাতেই সমগ্র শিখ সম্প্রদায় এবং শিখ কৃষক আন্দোলনকে আঘাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিন সেই সূত্রেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় FIR করেন অমরজিৎ সিং সান্ধু নামে বছর ৪৭-এর এক ব্যক্তি। তিনি দিল্লির শিখ গুরুদ্বারা ম্যানেজমেন্ট কমিটির (DSGMC) সদস্য ও শিরোমণি অকালি দলের (SAD) নেতা।
অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, গত ২১ নভেম্বর তাঁরা ইনস্টাগ্রামে দেখেন, অভিনেত্রীর নিজের প্রোফাইল থেকে হিন্দি ও ইংরিজিতে একটি পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে লেখা রয়েছে, ‘হয়তো খালিস্তানি জঙ্গিরা আজ সরকারকে প্যাঁচে ফেলে পিছু হঠতে বাধ্য করেছে… কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না এ দেশের একজন মহিলা প্রধানমন্ত্রী তাদের জুতোর তলায় পিষে দিয়েছিলেন… নিজের জীবন দিয়েও… দেশ ওই মহিলার জন্য অনেক ভুগেছে সে কথা সত্যি কিন্তু উনি এ দেশকে টুকরো টুকরো হয়ে যেতে দেননি… কয়েক দশক বাদেও খালিস্তানিরা তাঁর নাম শুনে কাঁপে… এদের জন্য ওঁর মতো একজন গুরুর প্রয়োজন।’
বুঝতে অসুবিধা হয় না, Kangana Ranuat একাধারে সাম্প্রতিক Farmers Movement এবং ১৯৮৪-র শিখ গণহত্যার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। প্রায় এক বছর ধরে সারা দেশে চলছে কৃষক আন্দোল। কেন্দ্রের আনা নতুন তিনটি কৃষি বিলের বিরুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন পঞ্জাবের শিখ কৃষক নেতারা। গত এক বছরে প্রায় ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে এই আন্দোলনে। চাপ এমনই বেড়েছে, সম্প্রতি নানক জয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন, ওই তিনটি কৃষি বিল তিনি প্রত্যাহার করবেন। কিন্তু তাতেও নরম হননি কৃষক নেতারা। তাঁদের দাবি, আগে লোকসভায় আইনত ওই বিল প্রত্যাহার হোক এবং কৃষক স্বার্থে পদক্ষেপ করুক সরকার তবে তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরবেন।