দেশ বিভাগে ফিরে যান

আমূল বদলাতে চলেছে জিএসটির কাঠামো? সুবিধা বাড়বে আম জনতার?

November 25, 2021 | 2 min read

আমূল বদলাতে চলেছে জিএসটির কাঠামো। বড়সড় পরিবর্তন আসছে জিএসটির হারে। বর্তমানে চালু থাকা পণ্য ও পরিষেবা করের চারটি স্তর তথা স্ল্যাবকে কমিয়ে তিনটি করা হতে পারে।  অর্থাৎ ৫, ১২, ১৮ এবং ২৮ শতাংশ হারে যে চার রকম জিএসটি হার এখন রয়েছে, তা কমিয়ে নতুন তিনটি স্ল্যাব গঠিত হবে। বর্তমানে চালু থাকা জিএসটি হারগুলিকেও বদলে দেওয়া হবে বলে স্থির হয়েছে। আগামী শনিবার, ২৭ নভেম্বর জিএসটি সংক্রান্ত মন্ত্রিগোষ্ঠীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চূড়ান্ত সুপারিশ ও রিপোর্ট তৈরি হবে। জিএসটির বাইরে থাকা কিছু পণ্যকে জিএসটি ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত করাও এই প্রক্রিয়ার অন্যতম হতে চলেছে। একইসঙ্গে উচ্চহারে যে পণ্যগুলির উপর জিএসটি আরোপ করা হয়েছে, সেই কর কমিয়ে আনা হবে। 


সাধারণ মানুষ ব্যবহার করে, এমন বহু পণ্য বিলাসদ্রব্য হিসেবে সর্বোচ্চ ২৮ শতাংশের জিএসটির আওতায় রয়েছে। সর্বোচ্চ জিএসটি হারের উপরে আবার অতিরিক্ত একটি সেসও চাপানো রয়েছে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই ওই সব পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। দীর্ঘদিন ধরেই বাণিজ্য মহলের দাবি, ২৮ শতাংশ হারের জিএসটি কাঠামোর পরিবর্তন করতে হবে। আর ১২ এবং ১৮ শতাংশের স্ল্যাবকে জুড়ে তৈরি করতে হবে নতুন একটি স্তর। সম্প্রতি মোবাইল হ্যান্ডসেট, বস্ত্রশিল্প এবং জুতোর উপর আরোপ হওয়া জিএসটি হারে ভারসাম্য আনা হয়েছে। এবার পরিপূর্ণভাবেই জিএসটির হার বদলে যাবে। মন্ত্রিগোষ্ঠীর রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে। আগামী মাসে  জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানেই অনুমোদিত হবে এই সুপারিশগুলি। যদিও মনে করা হচ্ছে, উচ্চপর্যায়ের কমিটির বৈঠকে গ্রহণ করা সুপারিশ সব রাজ্য মেনে নেবে এমনটা নয়। কয়েকটি প্রস্তাব ও সুপারিশ নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত টানাপোড়েন চলছে।

জিএসটি নিয়ে অন্যতম অভিযোগ হল, এরকম একঝাঁক পণ্য রয়েছে, যার কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ কিংবা উপকরণের উপর বলবৎ হওয়া করের পরিমাণ অনেক বেশি। কিন্তু সেগুলি দিয়ে তৈরি পণ্যকে রাখা হয়েছে কম জিএসটির আওতায়। ফলে মূল্য নির্ধারণে বৈষম্য ও বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। এই সামগ্রিক সমস্যাগুলির একটি ভারসাম্যের সমাধান ঩খোঁজার লক্ষ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল মন্ত্রিগোষ্ঠী। তাঁদের সুপারিশ ও রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই সামঞ্জস্য আসবে কর কাঠামোয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Goods and service tax, #Nirmala Sitharaman, #GST, #GST Council

আরো দেখুন