কৃষি আধিকারিককে বেধড়ক মারধর বিজেপি নেত্রীর, উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম
ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল নন্দীগ্রাম। কৃষি দপ্তরে ঢুকে সরকারি আধিকারিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির মহিলা সংগঠনের নেত্রীদের বিরুদ্ধে। বিজেপির বিক্ষোভে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল। এই মারধরের জেরে আক্রান্ত কৃষি দপ্তরের কর্মী। কৃষি অফিসারকে লাথি, কিল, চড়, ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল বিজেপির মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে।
ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রামের হরিপুরে কৃষিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কৃষি দপ্তরে ডেপুটেশন দিতে যায় বিজেপি। অভিযোগ, বিজেপির মহিলা কর্মীরা কৃষি দপ্তরের কর্মীকে হেনস্থা, মারধর করেন। সরকারি আধিকারিককে লাথি, কিল, চড়, ঘুষি মারতে থাকে। এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর, স্মারকলিপি জমা দিতে আসেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু বিজেপির মিছিল দপ্তরে ঢোকার সময় বেরোচ্ছিলেন বরুণ মণ্ডল নামে এক আধিকারিক। তখনই তাঁর উপর চড়াও হন মহিলারা। কিল, চড়, ঘুষি মারা হয় তাঁকে। এমনকী জামা ধরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে আসা হয় রাস্তায়। ফেলে পেটানো হয়।
বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, কৃষি দপ্তর সরকারি সুবিধা শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজনকে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে। স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। তা থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। নন্দীগ্রামের মানুষ সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নন্দীগ্রামের পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিজেপি নেতা মেঘনাথ পাল বলেন, ‘বারবার বলা সত্ত্বেও কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা রাজনৈতিক রঙ দেখে পরিষেবা দিচ্ছেন। শাসকদলের কর্মীদেরই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’ তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বলছে, এই ঘটনার পিছনে নন্দীগ্রামের বিধায়কের হাত রয়েছে। ভিত্তিহীন অভিযোগ করে সবাইকে ভীত–সন্ত্রস্ত করছে।