পুরভোটের প্রার্থী নিয়ে আজ বৈঠক তৃণমূল কংগ্রেসের
প্রার্থী হিসেবে শিকে ছিঁড়বে কাদের ভাগ্যে? তৃণমূলের অন্দরে তুঙ্গে কৌতুহল। জল্পনা-চর্চায় একাধিক ব্যক্তির নাম। বর্তমান সব কো-অর্ডিনেটরদের মধ্যে আদৌ কতজন টিকিট পাবেন, তা নিয়ে চর্চা অব্যাহত। আর এখানেই আলোচনায় শীর্ষে, মেয়র পদপ্রার্থী কে? তৃণমূল সূত্রে খবর, কাউকে মেয়র পদপ্রার্থী করা হচ্ছে না। জয়ের পর নির্বাচিতদের মধ্যে থেকে কলকাতা পুরসভার মেয়র করা হবে। প্রার্থী সংক্রান্ত বিষয়ে আজ, শুক্রবার বৈঠক হবে। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সাফল্য পেয়েছে তৃণমূল। কলকাতার সবকটি বিধানসভায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। ফলে বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ওয়ার্ড ভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। দলের জন্য যে সমস্ত কো-অর্ডিনেটররা পরিশ্রম করছেন এবং সবসময় মানুষের পাশে থাকছেন, তাঁদের বিষয়ে দল ভাবছে বলেই খবর। দলীয় সূত্রে খবর, এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে দৈনন্দিন যোগাযোগ থাকে কাউন্সিলরদের। ফলে তাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকতে পারেন কি না, দলীয় নেতৃত্ব তা দেখে নিচ্ছেন। ওয়ার্ডকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী তালিকায় যুবদের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলেই খবর।
তৃণমূল সবসময় মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী। ফলে লোকসভা, বিধানসভার মতো পুরভোটেও তৃণমূলের পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা প্রার্থী থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। সেইসঙ্গে নাগরিক পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁদের অনেককেই রাখা হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। গুরুত্বপূর্ণ হল, সাংসদ ও বিধায়করা পুরভোটে টিকিট পাবে কি না, সেই নিয়ে বিস্তর চর্চা চলছে। দলীয় নেতৃত্ব স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে জয়ী হওয়াই লক্ষ্য তৃণমূলের।
১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ভোট। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সব আসনে প্রার্থী খুঁজতে এখন মরিয়া। আর এখানে তৃণমূল বিরোধীদের থেকে অনেক এগিয়ে। কলকাতার প্রতিটি ওয়ার্ড হাতের তালুর মতো চেনা তৃণমূল নেত্রীর। ফলে নেত্রীই চূড়ান্ত করবেন ওয়ার্ড ভিত্তিক দলীয় প্রার্থী।