পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী প্রয়াত বামনেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কন্যা
কলকাতায় পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় বেশ কয়েকটি চমক দিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু সব থেকে বড় চমক বোধহয় যাদবপুরের ৯৬ নম্বর ওয়ার্ড। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ওই ওয়ার্ডে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বামনেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর মেয়ে। প্রয়াত বাম নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর মেয়ে বসুন্ধরা গোস্বামী আসন্ন পুরনির্বাচনে ঘাসফুলের প্রার্থী হয়েছেন। বামনেতার মেয়ে হলেও ‘বামবিরোধী’ মমতার দলের হয়েই ভোটে লড়া শুরু হল পেশায় মনস্তত্ত্ববিদ বসুন্ধরার।
২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রয়াত হন আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামী। তার পরই বসুন্ধরার তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা ছড়িয়েছিল। সেই জল্পনা আরও বেড়েছিল অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তার সমর্থনে তৃণমূলের মুখপত্রে বসুন্ধরার কলম ধরার পর। তৃণমূলের মুখপত্রের উত্তর সম্পাদকীয় স্তম্ভে অজন্তার ‘বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি’ শীর্ষক প্রবন্ধে উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বামনেতার মেয়ের তৃণমূলের মুখপত্রে লেখা এবং মমতার প্রশংসা নিয়ে সমালোচনায় মেতেছিল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা থেকে মুছে যাওয়া বামশিবির। কারণ দর্শানোর জন্য অজন্তাকে নোটিসও ধরানো হয়েছিল।
তখনই অজন্তার সমর্থনে এগিয়ে আসেন বসুন্ধরা। তৃণমূলের মুখপত্রে লেখেন, ‘এটা বাস্তব যে বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি নিয়ে কোনও লেখা হলে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া সম্পূর্ণ হতে পারে না। অজন্তা এটা লিখে কোনও ভুল করেননি। লেখায় বামপন্থীদের অংশ অটুট রেখে অজন্তা উদারতার পরিচয় দিয়েছেন।’
এই সব কার্যকলাপই জানান দিচ্ছিল তৃণমূলের অনেকটাই কাছাকাছি এসে পড়েছেন প্রয়াত ক্ষিতির মেয়ে। কলকাতা পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হতেই তা প্রমাণিত হল।
কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের টিকিট পাওয়ার পর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে খোলামেলা আলাপচারিতায় ক্ষিতি-কন্যা বসুন্ধরা গোস্বামী: