কানপুর টেস্ট, তৃতীয় দিন: অক্ষরের ভেল্কির পর দিনের শেষে চাপে ভারতও
ভারত: ১৪-১ (পূজারা ৯, মায়াঙ্ক ৪) এবং ৩৪৫/১০
নিউজিল্যান্ড: ২৯৬-১০ (ল্যাথাম ৯৫, ইয়ং ৮৯ )
ভারত ৬৩ রানে এগিয়ে
কানপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে দুই দলের ড্রেসিং রুমের ছবিটা যেমন ছিল, তৃতীয় দিনের শেষে সম্ভবত ঠিক তার উলটোটাই হবে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ওপেনারদের বিরাট জুটিতে ভর করে নিউজিল্যান্ড যেখানে বেশ স্বস্তিদায়ক জায়গায় ছিল, সেখানে তৃতীয় দিনের শেষে ভারতীয় শিবির অনেকটাই ভাল জায়গায়। বলা ভাল, কিউয়িদের থেকে এই মুহূর্তে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভারত।
কানপুর টেস্টের (Kanpur Test) তৃতীয় দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের স্কোর ১ উইকেটের বিনিময়ে ১৪ রান। এর আগে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ২৯৬ রানে। দিনের শেষে শুভমন গিলের উইকেট খোয়ানো ছাড়া এদিন মোটামুটি সবকিছুই ঠিকঠাক করেছে ভারত। দিনের শেষে টিম ইন্ডিয়ার লিড ৬৩ রানের।
বিনা উইকেটে ১২৯ রান। প্রথম ইনিংসে ভারতের ২৪৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে এটাই ছিল কিউয়িদের স্কোর। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন না স্পিনার না পেসার, কোনও ভারতীয় বোলারই সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। কিন্তু তৃতীয় দিনে ছবিটা বদলে যায়। দলগত ১৫১ রানের মাথায় কিউয়ি শিবিরে প্রথম আঘাতটি হানেন অশ্বিন (Ravi Ashwin)। এরপর ১৯৭ রানে ফিরে যান অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন (Kane Williamson)। এরপরই নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামান অক্ষর প্যাটেল এবং অশ্বিন। ভারতীয় স্পিনারদের প্যাঁচে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে উইকেট খোয়াতে থাকে কিউয়িরা। ফলে লেথাম (৯৫) এবং ইয়ং (৮৯) দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও প্রথম ইনিংসে ৪৯ রানে পিছিয়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিনের শেষে ভারতের স্কোর ১৪ রানে ১ উইকেট। সাউদির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গিয়েছেন গিল। ক্রিজে রয়েছেন পূজারা এবং মায়াঙ্ক। দিনের শেষে ৬৩ রানের লিড নিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিদায়ক অবস্থায় টিম ইন্ডিয়া। কানপুরের ঘূর্ণি পিচে এই ৬৩ রান নেহাত কম পুঁজি নয়।
তবে, এদিন সার্বিকভাবে ভারত স্বস্তিতে থাকলেও দুটি বিষয়ে খচখচানি থেকেই যাচ্ছে ভারতীয় শিবিরের (Indian Cricket Team)। প্রথমত, ঋদ্ধিমান সাহার চোট। তৃতীয় দিন ঘাড়ের চোটের জন্য কিপিং করেননি ঋদ্ধি। দ্বিতীয়ত রবি অশ্বিন এবং আম্পায়ারের মধ্যে অযাচিত বিতর্ক। এদিন বোলিংয়ের সময় অশ্বিনের ফলো-থ্রু নিয়ে আপত্তি তোলেন আম্পায়ার নীতিন মেনন। যা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি হয় অশ্বিন এবং আম্পায়ারের মধ্যে। আসরে নামতে হয় অধিনায়ক রাহানে এবং কোচ দ্রাবিড়কেও।