খুলছে মামলার জট, শুরু হবে ১৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া
বছর শেষেই কাটতে চলেছে এসএসসির উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জট। দ্রুত অক্সিজেন পাবে মামলার গেরোয় আটকে থাকা ১৪ হাজারেরও বেশি শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। এসএসসির অন্দর থেকে আশ্বাস মিলেছে, ডিসেম্বরেই মিটে যাবে অভিযোগ জানানো প্রার্থীদের অভ্যন্তরীণ শুনানি প্রক্রিয়া। আর শুনানিতে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের একাংশের দাবি, কাট অফ মার্কসের (যোগ্য বিবেচিত হতে গেলে যে নম্বর পেতেই হবে) বেশি থাকলে আবেদনে ভুলভ্রান্তির জন্য বাতিল হওয়া কেসগুলিও গ্রাহ্য করার ইঙ্গিত দিয়েছে এসএসসি।
স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে এসএসসিকে। তবে, উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বেশ কিছুটা অনুকূল অবস্থায় তারা। আদালত যা বলেছে, তা অক্ষরে অক্ষরেই পালন করার চেষ্টা চালাচ্ছে এসএসসি। শুনানি প্রক্রিয়া সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের দিয়ে করানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তেমন আধিকারিকের সংখ্যা সীমিত। তাই গ্রেড-এ পদমর্যাদার অফিসারদের দিয়ে শুনানি চালানোর ছাড়পত্র আদালত থেকে আদায় করে এনেছে এসএসসি। তারপরই গতি পেয়েছে প্রক্রিয়া। আদালত এই কাজ শেষ করার জন্য ১৫ সপ্তাহের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু তার আগেই কাজ সম্পূর্ণ হলে হাইকোর্টে আগাম বিষয়টি উল্লেখ করায় (মেনশন) বাধা থাকবে না।
স্কুল সার্ভিস কমিশন ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ হাজার ৯৮৯ জন অভিযোগকারীর শুনানি শেষ করে ফেলবে। পরের দফার জন্য ২ হাজার ১০০ প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা হয়েছে। ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে শুনানি শেষ হওয়া প্রার্থীর সংখ্যা হবে ১৬ হাজার ৮৯। কমিশনের এক আধিকারিক জানান, তারপর ২ হাজার ২০০ প্রার্থী বাকি থাকবেন। তাঁদের শুনানি ডিসেম্বরে শেষ হয়ে যাবে।
ইন্টারভিউয়ে বসার জন্য প্রার্থীদের আবেদন দু’টি কারণে বাতিল করেছিল এসএসসি। প্রথমত, কাট অফ মার্কসের নীচে প্রাপ্ত নম্বর থাকা। এবং দ্বিতীয়ত, আবেদনের সময় তথ্যাদি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভুলভ্রান্তি। দ্বিতীয় ধরনের প্রার্থীর সংখ্যাই দেড় হাজারের কম নয় বলে জানা যাচ্ছে। সেই ভুলগুলি শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এমন কিছু প্রার্থীকে শুনানির টেবিলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইন্টারভিউয়ের প্রস্তুতি নিন। সব ঠিক থাকলে ডিসেম্বরের শেষেই তা শুরু হতে পারে। যদিও এসএসসির এক কর্তা বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপই এমনভাবে করা হচ্ছে, যাতে আদালত অসন্তুষ্ট না হয়।