পুরভোটের টিকিটে দুর্নীতির অভিযোগে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ কর্মীদের
কলকাতা পুরভোটে প্রার্থিতালিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রদেশ কংগ্রেসের (West Bengal Congress) অন্দরে। রবিবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করতে পারেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার আগেই প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।
শনিবার কলকাতা পুরসভার ৬৬টি ওয়ার্ডের জন্য প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। এ বার দ্বিতীয় প্রার্থিতালিকা প্রকাশের আগে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের একাংশের দাবি, টিকিট নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে। যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে দল করছেন, তাঁদের প্রাধান্য না দিয়ে নতুনদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। সূত্রের খবর, বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে তালাও ঝুলিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।
রবিবার সন্ধ্যায় প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে মূলত ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কর্মীরা এসে বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে তিনটি নাম পাঠানো হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। তা অগ্রাহ্য করে অন্য এক জনকে প্রার্থী করা হয়েছে। যিনি ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দাও নন।
কংগ্রেসের প্রথম প্রার্থিতালিকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হিসেবে পার্থ মিত্রের নাম নিয়ে ইতিমধ্যে দলের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কো-অর্ডিনেটর তথা ১০ বছরের কাউন্সিলর পার্থকে এ বার টিকিট দেয়নি তৃণমূল। এর পরই কংগ্রেসের প্রকাশিত প্রার্থিতালিকায় তাঁর নাম দেখে বিষ্ময় তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
সাংবাদিক বৈঠকে তালিকা ঘোষণার সময় কলকাতার পুরভোটের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত জানান, পার্থ কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই টিকিট দেওয়া হয়েছে।
তার পর রবিবার সকালে ভোল বদল করে পার্থ জানান, তিনি তৃণমূলে আছেন। যার জেরে দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশের আগে অস্বস্তিতে পড়তে হল কংগ্রেস নেতৃত্বকে। ওই নিয়ে দলের অন্দরে বিতর্কের মাঝে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভ ঘিরে নেতৃত্বকে আরও বেকায়দায় পড়তে হল।
কংগ্রেস নেতৃত্ব বিক্ষোভ প্রশমিত করার চেষ্টা করলেও এখনও প্রদেশ কংগ্রেস ভবনেই রয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি, দ্বিতীয় প্রার্থিতালিকা প্রকাশের সময় কিছু ওয়ার্ডে প্রার্থী বদল করতে হবে। দলের অন্দরে ক্ষোভ দমনে এ বার কংগ্রেস নেতৃত্ব কী করে, এখন সেটাই দেখার।