রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

দিদিকে বলোর ধাঁচে পঞ্চায়েতের অভিযোগ এবার জানানো যাবে হোয়াটসঅ্যাপে

November 28, 2021 | 2 min read

গ্রামবাংলার সঙ্গেও এবার সরাসরি জনসংযোগে নবান্ন। কোথায় কাজ বাকি, কোথায় দুর্নীতি—সব অভিযোগ সোজাসুজি জানানো যাবে সরকারের কাছে। আর গোটাটাই হবে অত্যন্ত সন্তর্পণে… হোয়াটসঅ্যাপে। গ্রামস্তরে উঠে আসা যে কোনও অভিযোগ এবং দুর্নীতি ঠেকাতে ‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে উদ্যোগ নিল পঞ্চায়েত দপ্তর। খুব শীঘ্রই গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ স্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে সেই হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর। যে কেউ সেই নম্বরে পঞ্চায়েতের কাজ সম্পর্কে ছবি সহ অভিযোগ জানাতে পারবেন। পত্রপাঠ ব্যবস্থাও নেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। গ্রামীণস্তরের অভিযোগকে এভাবে গুরুত্ব দিয়ে ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারতে চাইছে রাজ্য। এর ফলে কাজের গতি যেমন বাড়বে, তেমনই দপ্তরের প্রকৃত কাজ সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি হবে মন্ত্রী ও আধিকারিকদের। 

পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ নতুন নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে এব্যাপারে বারবার সরব হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে নানা ধরনের নালিশও জমা পড়েছে নবান্নে। বিষয়টিতে বেশ চিন্তিত পঞ্চায়েত দপ্তর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সরকারি মহলে এই ধরনের অসাধু কার্যকলাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁর পাখির চোখ উন্নয়ন আর শিল্প স্থাপন। সেই উন্নয়নের পথে দুর্নীতি যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেব্যাপারে যথেষ্ট কড়া মনোভাব নিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন বৈঠকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘দুর্নীতি বরদাস্ত করব না।’ পুরসভা ও পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়। একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠকে পুরসভা ও পঞ্চায়েতের প্রধান ও কর্তাব্যক্তিদের স্বচ্ছতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরসভাগুলি এভাবে অভিযোগ জানানোর উদ্যোগ আগেই নিয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটছে পঞ্চায়েত দপ্তরও। 

সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পেয়েছেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরিমন্ত্রী পুলক রায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পঞ্চায়েতের কাজকে দুর্নীতিমুক্ত, গতিশীল করতে তিনিই এই অভিনব ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই তৈরি করেছেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্ৰুপ। সেখানে সব কাজের আপডেট দিতে হবে ইঞ্জিনিয়ার ও অফিসারদের। একেবারে ব্লক থেকে জেলা, এমনকী রাজ্যস্তর পর্যন্ত। সত্যিই কাজ হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করতে সঙ্গে পাঠাতে হবে ছবিও। গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে এই উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছে। দপ্তরের যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং পাইলট প্রজেক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ারদের জেলা পরিদর্শনেরও নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

এর পাশাপাশি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর জেলায় জেলায় চালু করে গ্রামস্তরের প্রকৃত অবস্থাও পুলকবাবু বুঝে নিতে চান। ওই নম্বরে শুধু অভিযোগ জানানো যাবে। একইরকম বন্দোবস্ত আগেই করা হয়েছে পুরদপ্তরে। যেখানে জঞ্জাল জমা সহ নানা ধরনের অভিযোগ জানানো যায়। এবার পঞ্চায়েতও সেই পন্থা অবলম্বন করায় দপ্তরের কাজে আরও গতি ও স্বচ্ছতা আসবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Whatsapp, #Panchayet

আরো দেখুন