দিল্লিতে বজরং দলের গেরুয়া সন্ত্রাস, ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর চার্চে
রাজধানীর বুকে ফের ‘গোলি মারো’ স্লোগান। এ বার ঘটনাস্থল দ্বারকার একটি চার্চ (Delhi Church vandalised)। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, একদল যুবক ‘গোলি মারো’ স্লোগান দিচ্ছেন। অভিযোগ, ‘গোলি মারো’, ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে দিতে একটি চার্চে (Delhi Church vandalised) হামলা চালান। অভিযুক্তরা কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং দলের সদস্য। খাস রাজধানীর এই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়ে যায়।
ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দ্বারকার ওই চার্চে প্রার্থনা চলছিল। বেশ কিছু মানুষ সেই প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় আচমকা বজরং দলের সদস্যরা ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তুলে চার্চে ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ তারা খবর পান মাটিয়ালা রোডের একটি চার্চের বাইরে ঝামেলা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এবং কিছু দুষ্কৃতী চার্চে ব্যাপক ভাঙচুর চালান।
এই ঘটনায় মোট দুটি এফআইআর দায়ের করেছে বিন্দাপুর থানার পুলিশ। চার্চ ভাঙচুর এবং উত্তেজনা সৃষ্টির অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের হয়েছে। কোভিড-১৯ বিধি সংক্রান্ত দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের গাইডলাইন অমান্য করে চার্চে জমায়েত করে প্রার্থনার অভিযোগে আর একটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ ধর্মীয় জমায়েতের অনুমতি দিলেও এক্ষেত্রে একটি গোডাউনকে চার্চে পরিণত করে প্রার্থনা চলছিল বলে অভিযোগ।
ভাঙচুরের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দ্বারকার ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ শঙ্কর চৌধুরী জানিয়েছেন, কিছু লোক একটি গুদামে জড়ো হয়েছিল। সেখানে তাঁরা ‘চার্চ’ লেখা একটি সাইনবোর্ড রেখেছিল। গোটা বিষয়টি অত্যন্ত গোপনে করা হয়েছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। সে কারণেই তাঁরা আপত্তি জানান। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
গোটা ঘটনার ভিডিয়ো সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলির ভূমিকা নিয়ে সরব হন অনেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের হাতে থাকা দিল্লি পুলিশ নিয়েও সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এর আগে রাজধানীতে ‘গোলি মারো’ স্লোগান দেওয়া হয়েছে। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ‘গোলি মারো শালোকো’ স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।