ডায়মন্ড হারবারে আসার বার্তা, অভিষেকের ‘বন্ধু’ সোনুর মুখেও এবার ‘খেলা হবে’!
‘খেলা হবে’ স্লোগান এবার বলিউড গায়ক সোনু নিগমের (Sonu Nigam) মুখে। কারণ সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর এম পি কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করবেন সোনু। সেই কথা জানাতে গিয়েই ‘খেলা হবে’ (Khela Hobe) স্লোগান দেন তিনি।
২০১৭ তে ‘এম পি কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে গতবছর অর্থাৎ ২০২০ সালে টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখতে হয়। এবার সুরক্ষাবিধি মেনেই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ফুটবল প্রতিযোগিতার এই আসর। এক মাস ধরে চলবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হচ্ছে ডায়মন্ডহারবার এসডিও গ্রাউন্ডে। প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই সংগীত পরিবেশন করবেন সোনু নিগম। সেকথা জানিয়েই গায়ক বলেন, “নমস্কার, হ্যালো ডায়মন্ড হারবার। আমি আপনাদের কাছে ৫ ডিসেম্বর আসছি আমার প্রিয় বন্ধু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। খুব শিগগিরিই দেখা হবে। খেলা হবে।”
এক সময় বলিউডে চুটিয়ে গান করেছেন সোনু। এখন রিয়ালিটি শোয়ের বিচারক হওয়ার সুবাদে বাংলায় রয়েছেন। নিজের মন্ত্যবের জন্য একাধিকবার বিতর্কে জড়িয়েছেন গায়ক। এর মধ্যে অন্যতম আজান বিতর্ক। কেন মুসলিম না হয়েও আজানের শব্দে ঘুম ভাঙবে তাঁর? কেন ধর্মের নামে ব্যবহার করা হবে লাউডস্পিকার? সোনুর এমন প্রশ্নেই তোলপাড় হয় সোশ্যাল মিডিয়া। তবে নিজের বক্তব্য থেকে পিছু হটেননি গায়ক। পরে আবার অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Temple) তৈরির জন্য আর্থিক অনুদানও দেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাম মন্দির নির্মাণের এই কাজে তিনিও অংশীদার হতে চান বলেও জানান। এহেন সোনুর মুখেই শোনা গেল ঘাসফুল শিবিরের ‘খেলা হবে’ স্লোগান।
৩০ ডিসেম্বর মহেশতলার বাটা স্টেডিয়াম মাঠে প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচেও হবে নক্ষত্র সমাবেশ। এখন চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। টুর্নামেন্টের সংগঠক জাহাঙ্গীর খান জানান, তরুণ ও যুব সমাজকে মাঠমুখী করতেই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ। ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মোট ১২৮টি দল অংশ নিচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। স্থানীয় খেলোয়াড়দের সঙ্গে দলগুলির হয়ে খেলায় অংশ নেবেন বিশিষ্ট ফুটবলাররাও। সম্পূর্ণ কোভিডবিধি মেনেই চলবে এই আকর্ষণীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা।
টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য অমিত সাহা জানান, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই প্রত্যেক ফুটবলারের ক্ষেত্রে যেমন থাকছে কঠোর বিধিনিষেধ তেমনই মাঠে প্রবেশের জন্য দর্শকদের জন্যও থাকবে বেশ কিছু নিয়মকানুন। প্রত্যেক দলের খেলোয়াড়দের বয়স আঠেরোর বেশি হতে হবে। নাম নথিভুক্ত করার সময় ও খেলতে নামার আগে দিতে হবে করোনা টিকার দু’টি ডোজের শংসাপত্র। ১৮ বছরের কমবয়সী ফুটবলারদের দেখাতে হবে আরটিপিসিআর রিপোর্ট। মাস্ক ছাড়া কোনও দর্শককেই মাঠে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না। টুর্নামেন্ট কমিটিও মাঠে প্রবেশের আগে বিলি করবে মাস্ক। প্রবেশপথে থাকছে স্যানিটাইজার টানেল। আর নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শককেই দেওয়া হবে মাঠে প্রবেশের অনুমতি।