আজ থেকে সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্না দেবেন সাসপেন্ড হওয়া দোলা-শান্তাসহ ১২ সাংসদ
আজ থেকে শীতকালীন অধিবেশন শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সংসদ ভবন চত্বরে ধর্না দেবেন সাসপেন্ড দুই তৃণমূল এমপি দোলা সেন ও শান্তা ছেত্রী। তাঁদের সঙ্গেই ধর্না বিক্ষোভে অংশ নেবেন রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড অন্য ১০ জন সাংসদও। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা ধর্না বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তৃণমূল সহ অন্য দলের সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। সরকার বিরোধিতায় সোচ্চার হতে কার্যত নজিরবিহীন এই পদক্ষেপের কথা মঙ্গলবারই জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলের রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ ব্রায়েন এদিন বলেছেন, ‘সরকার যা করেছে, তা ভুল করেছে। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ১২ জন এমপিকে বহিষ্কার করা হয়েছে রাজ্যসভা থেকে। এর প্রতিবাদে বুধবার থেকে লাগাতার ধর্না বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হবেন রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কৃত এমপিরা।’এদিন সকালেও বিরোধীদের ধর্নায় হাজির ছিল তৃণমূল।
মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, কেন্দ্রের মোদি সরকার বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছে। বিরোধীপক্ষের কথা শোনাই হচ্ছে না। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বয়কটের জল্পনাও এদিন উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডেরেক বলেছেন, ‘সরকার নিজেই চাইছে যাতে, বিরোধীরা অধিবেশনের বাকি দিনগুলি বয়কট করে। তাতে যেমন বিরোধী পক্ষকে সহজেই কাঠগড়ায় তোলা যাবে, তেমনই বিনা বাধায় সমস্ত বিল পাস করিয়ে নেওয়া যাবে সংসদে। কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।’
তৃণমূলের অভিযোগ, মোদি সরকারের আমলে মাত্র ১০ শতাংশ বিল পর্যালোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এই হার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। বিরোধী ঐক্যে ফাটলের জল্পনাও এদিন কার্যত উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ডেরেক ফের বলেছেন, সাধারণ ইস্যুই বিরোধীদের এককাট্টা করবে। এবং সংসদে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধই থাকবে। তবে এটিও মনে রাখতে হবে যে, তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দলেরই নির্বাচনী শরিক নয়।