এমএসপি-বেসরকারিকরণের নিয়ে আন্দোলনে কৃষক ও ব্যাঙ্ক অফিসাররা, সাঁড়াশিচাপে কেন্দ্র
![](https://drishtibhongi.in/wp-content/uploads/2021/12/Farmers-Bank.jpg)
বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন কেন্দ্রের সরকার প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছে কৃষক আন্দোলনের ধাক্কায়। তবে এতেও মোদী সরকার প্রত্যাশিত স্বস্তি পাচ্ছে না। কারণ, এমএসপি আইন নিয়ে এখনও অনড় কৃষকরা। ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার কোনও সিদ্ধান্ত না জানালে আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে বলে জানিয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার সরকার মধ্যপন্থা হিসেবে এমএসপি আইন সংক্রান্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়ে কৃষক সংগঠনের কাছে প্রতিনিধিদের নাম পাঠানোর অনুরোধ করেছে। সংযুক্ত কৃষক মোর্চার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের ওই অনুরোধ নিয়ে আলোচনা হবে ৪ ডিসেম্বর।
তবে আজও একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সংসদের বাইরে যেখানে কৃষকদের শান্ত করার প্রয়াস করছে সরকার, সেখানে সংসদের অন্দরেও বিরোধীরা একই দাবিতে অনড়। আর এই দুই টানাপোড়েনেই নতুন সঙ্কট হাজির কৃষক আন্দোলনের সাফল্যে উজ্জীবিত অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসার সংগঠনও এবার পথে নামায়। ব্যাঙ্ক অফিসাররা আন্দোলনে নেমেছেন বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিল্লির যন্তরমন্তরে দিনভর অবস্থানে অংশ নেয় আন্দোলনকারী কর্মীরা। তাঁদের দাবি, ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের মাধ্যমে শুধু যে সরকারি সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে তাই নয়, সংরক্ষণের উপরও কোপ পড়তে চলেছে। সরকারি সংস্থা অথবা ব্যাঙ্ক যখনই বেসরকারি হাতে যাবে, তখন সর্বাগ্রে সংরক্ষণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই কারণেই এই উদ্যোগের বিরোধিতা করা বেশি করে প্রয়োজন। এই ইস্যু শুধুই ব্যাঙ্ককর্মীদের মধ্যেই সেই কারণে আর সীমাবদ্ধ নেই। এবার রাজনৈতিকভাবেও এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হতে চলেছে রাজনীতি। বিশেষ করে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল এখন থেকেই জানিয়ে দিয়েছে, বেসরকারিকরণের অর্থ সরকারি চাকরির সংরক্ষণে কোপ পড়তে চলেছে।
এই প্রচার বেশি করে জোরদার হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ ভোটের প্রাক্কালে। সংরক্ষণ ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশের ভোটে বিজেপিকে চেপে ধরার কৌশল নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই জাতপাতের ভিত্তিতে সেন্সাস করা হোক, এই দাবি তুলেছে দলগুলি। তবে মঙ্গলবারও সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত প্রশ্নের উত্তরে সংসদে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তফসিলি জাতি ও উপজাতির পৃথক পরিসংখ্যান যেমন থাকে, তেমনই থাকবে। পৃথকভাবে জাতিগত কোনও সেন্সাস করা হবে না। সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বিক্ষোভ আরও তীব্র করবে কিছু রাজনৈতিক দল। মোদী সরকারের কাছে উদ্বেগের বার্তা হল, এই তালিকায় থাকছে জোটশরিক নীতীশ কুমারের দলও। সুতরাং এমএসপি আইন ও ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিল, এবার দুটি চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে মোদী সরকারের সামনে।