পুরভোটে মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে বাংলাকে দেখে ত্রিপুরা বিজেপির শেখা উচিত, তোপ চন্দ্রিমার
সম্প্রতি ত্রিপুরাতেও পুরসভার নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আর সেখানে বিরোধীদের উপর লাগাতার সন্ত্রাস হয়েছে বলে অভিযোগ। মনোনয়নপর্ব থেকে সেই সন্ত্রাসের বাতাবরণ দেখেছে গোটা দেশ বলে বিরোধীদের দাবি। সেখানে আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন। যার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বুধবার। সেখানে কিন্তু কোনও হামলা–সন্ত্রাসের অভিযোগ বিরোধীরা করতে পারেননি। এবার এটাই প্রচারে তুলে ধরতে চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা।
এদিন দেখা গিয়েছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনও গণ্ডগোল হয়নি। মনোনয়নে বাধা পাননি কেউ। এমনকী এমন কোনও অভিযোগ করেনি বিরোধী শিবিরও। তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, ত্রিপুরায় যেটা হয়, বাংলায় সেটা হয় না। মনোনয়নপত্র জমা শেষ হল বুধবার। ভোট ১৯ ডিসেম্বর। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস প্রার্থীরাও। এই বিষয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। বাংলা ফের পথ দেখাল। ত্রিপুরা বিজেপির শেখা উচিত।’
বিজেপির সমস্ত প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তাঁদের হাসিমুখ প্রমাণ করে নির্বিঘ্নে মনোনয়ন জমা দিতে পেরেছেন। এমনকী নিজেদের অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপেও তা পোস্ট করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস এই ছবিটাই বাংলার মানুষের কাছে এখন তুলে ধরতে চাইছেন। তাই বাণিজ্যনগরী থেকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, গেরুয়া শাসনে বিঘ্নিত গণতন্ত্র রক্ষা করাটাই এখন আশু কর্তব্য।
এখন অবশ্য অনেকের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা রয়েছে। কে বা কারা শেষপর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন এখন সেটাও দেখার বিষয়। কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের গড়েই কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে তনিমা চট্টোপাধ্যায় এবং রতন মালাকারকে। বিজেপির ক্ষেত্রেও এই উদাহরণ আছে গৌরব বিশ্বাস। এদিন নেতাজি ইন্ডোরে সব দলের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় ডান–বাম প্রার্থীদের সাক্ষাতে সৌজন্য বিনিময় হয়। তবে স্টেডিয়ামের বাইরে ‘জয় বাংলা’ এবং ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানও শোনা গিয়েছে।