গোয়া সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ কংগ্রেসের
গোয়া সরকারের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মারত্মক অভিযোগ আনলেন গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি গিরিশ চোদনকর। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের এক মন্ত্রী যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। গিরিশের অভিযোগ, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীও এই বিষয়ে সব কিছুই জানেন। স্বাভাবিকভাবেই কংগ্রেসের এই অভিযোগকে খারিজ করেছে বিজেপি। উল্লেখ্য, নির্দিষ্টভাবে কোনও মন্ত্রীর নাম বলেননি গিরিশ।
গোয়ার কংগ্রেস সভাপতি সাংবাদিকদের আরও জানিয়েছেন, যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত অভিযুক্ত মন্ত্রীকে বরখাস্ত না করেন তবে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর, প্রধানমন্ত্রী গোয়া সফরে এলে তাঁর দল প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবতীয় প্রমাণ তুলে ধরবে। গোয়ার রাজধানী পানাজিতে অবস্থিত কংগ্রেস সদর দফতরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গিরিশ জানিয়েছেন, ‘গোয়া সরকারের মন্ত্রী যৌন কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তিনি মন্ত্রীর পদ ব্যবহার করে সেই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এক মহিলাকে যৌন নির্যাতন করছেন। যখন সরকারে থাকা কোনও ব্যক্তি মহিলাদের হেনস্তা করতে ক্ষমতা ও পদকে ব্যবহার করে তখন সেই ইস্যুটি মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ’।
সাংবাদিকদের প্রদেশ সভাপতি বলেন, তাঁর কাছে যে ফটো ও ভিডিও তথ্য প্রমাণ হিসেবে আছে তাঁতে দেখা যাচ্ছে, ওই মন্ত্রী এক মহিলা সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় রয়েছেন। তিনি যে ভাষায় ওই মহিলা সঙ্গে কথা বলছেন, তা দেখে মনে হচ্ছে তাঁর বিধায়ক হওয়ারও যোগ্যতা নেই। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, ‘তাঁর কাছে যে তথ্য প্রমাণ আছে, সেখানে স্পষ্টতই শোনা যাচ্ছে ওই মহিলা নিজের অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁকে রীতিমতো হুমকির সুরে ও মন্ত্রী বলেন. ‘আমি মন্ত্রী। আমি যা খুশি তাই করতে পারি।’ ওই অডিওতে ওই মহিলাকে গর্ভপাতের জন্যও চাপ সৃষ্টি করতে শোনা গিয়েছে’।
এরপরে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন গিরিশ। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা ও তথ্য প্রমাণ সম্পর্কে অবগত এবং তিনি নিজের পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে সেই প্রমাণ ধ্বংস করার চেষ্টা করছেন। এই অভিযোগ অস্বীকার করেছ বিজেপি। তবে আগামী বছরের শুরুতেই গোয়াতে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের অভিযোগ বিজেপির অস্বস্তি বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।