দেশ বিভাগে ফিরে যান

আন্দোলনে ফাটল ধরাতে চক্রান্ত করছে মোদী সরকার! অভিযোগ কৃষক নেতৃত্বের

December 2, 2021 | 2 min read

আন্দোলনে ফাটল ধরাতে কৃষকদের মধ্যে বিভাজনের চক্রান্ত করছে মোদী সরকার। পৃথকভাবে ফোন করা হচ্ছে বাছাই করা কৃষক নেতাদের। বুধবার এমনই অভিযোগ করেছে কৃষক সংগঠনগুলি। যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিন সারা ভারত কিষান সভার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে সরকারিস্তরে কেন্দ্রের কাছ থেকে কোনও আমন্ত্রণ আসেনি। কিন্তু ‘ব্যাক চ্যানেল’ দিয়ে আন্দোলনকারী কৃষকদের ফোন করছে সরকার। চেষ্টা করছে বিভাজন সৃষ্টি করার। সারা ভারত কিষান সভার পক্ষে হান্নান মোল্লা, পি কৃষ্ণপ্রসাদ বলেন, ‘সংযুক্ত কিষান মোর্চার কোর কমিটির সদস্য কৃষক নেতাদের কাছে বেছে বেছে ফোন আসছে। অথচ কেন্দ্র জানে, সরকারি আমন্ত্রণ ঠিক কেমন হয়। সেই প্রক্রিয়া আমাদেরও অজানা নয়। এর আগে ১১ বার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি। প্রতিবারই রীতি মেনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এবারেও তাই করতে হবে। একমাত্র তাহলেই কেন্দ্রের সঙ্গে কৃষকদের আলোচনা সম্ভব।’

বুধবার সংযুক্ত কিষান মোর্চার পক্ষ থেকেও এই অভিযোগ করে বলা হয়েছে, ‘সরকারের উচিত অবিলম্বে কৃষকদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা বন্ধ করা। কারণ চাষিরা ঐক্যবদ্ধই আছেন।’ ভারতীয় কিষান ইউনিয়নের (বিকেইউ) সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন,‘চাষিরা কোথাও যাচ্ছেন না। আন্দোলন চলবেই। কারণ কৃষকদের সব দাবি এখনও পূরণ হয়নি।’ এই সুর বজায় রেখে বুধবার মোদী সরকারের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, দিল্লির সীমানাগুলিতে ট্রাক্টর-ট্রলিতে করে আরও বেশি সংখ্যক কৃষক অবস্থান মঞ্চে যোগ দিচ্ছেন। যাতে সব দাবি পূরণ হওয়ার পর বিজয় উৎসব করতে করতে অনেক বেশি কৃষক ঘরে ফিরতে পারেন। যতদিন পর্যন্ত সেই দাবি না মিটছে, ততদিন এভাবেই দিল্লির সীমানাগুলিতে পড়ে থাকবেন কৃষকরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, এমএসপি আইন কার্যকর, বিদ্যুৎ বিল ২০২০ বাতিল, কৃষক আন্দোলনের এক বছরে শহিদ কৃষকদের প্রত্যেক পরিবারকে ক্ষতিপূরণ, কৃষকদের বিরুদ্ধে যেসব মিথ্যা মামলা দায়ের হয়েছে, তার সবই প্রত্যাহার করতে হবে সরকারকে। যতদিন তা না হচ্ছে, ততদিন এভাবেই আন্দোলন বজায় থাকবে। আর এতেই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মোদী সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতেই কৃষক নেতারা অভিযোগ করছেন, আন্দোলন স্তব্ধ করতে বিভাজনের রাজনীতি করছে মোদী সরকার।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই কিষান মোর্চা জানিয়েছিল, এমএসপি কমিটি তৈরির জন্য মোর্চার পাঁচজন নেতার নাম বাছাই করতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ফোন করা হয়েছিল পাঞ্জাবের এক কৃষক নেতাকে। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। এমনকী হরিয়ানা সরকারের সঙ্গেও কৃষক নেতৃত্বের কোনও বৈঠক হয়নি বলে সাফ জানিয়েছে কিষান মোর্চা। কৃষক নেতৃত্বের অভিযোগ, দাবি পূরণের আর্জি জানিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখা হলেও বুধবার রাত পর্যন্ত তার জবাব আসেনি। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের পরবর্তী রূপরেখা তৈরি করতে আগামী ৪ ডিসেম্বর ফের বৈঠকে বসছেন কৃষক নেতারা। – ফাইল চিত্র

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Modi Government, #Farmers Protest

আরো দেখুন