রেলে কেন বন্ধ নিয়োগ? নেটিজেনদের প্রতিবাদে বিপাকে মোদী সরকার
রেলে তৈরি হচ্ছে একের পর এক শূন্যপদ। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। কখনও আবার রেলে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হলেও মাঝপথে গোটা প্রক্রিয়াই আটকে যাচ্ছে। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কোটি কোটি পরীক্ষার্থীকে। রেলের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ। বুধবার এর বিরুদ্ধে কার্যত শুরু হয়েছে ডিজিটাল প্রতিবাদ। রেলমন্ত্রী, রেলমন্ত্রক, মায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর দপ্তরকে ট্যাগ করে এই ইস্যুতে কোটি কোটি টুইট করা হয়েছে বিভিন্ন হ্যাশট্যাগে। নজিরবিহীন এহেন বিক্ষোভের জেরে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকী বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে তুলোধনা করে টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। যদিও যাবতীয় বিতর্ক সত্ত্বেও সামগ্রিক ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেল বোর্ডের কর্তারা।
তবে রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্রে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, এর জন্য দায়ী দেশ জোড়া করোনা পরিস্থিতিই। করোনা মহামারীর কারণেই সময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া করতে পারেনি রেল বোর্ড। কিছু ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া শুরু করেও মাঝপথে তা থামিয়ে দিতে হয়েছে। কারণ করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে গিয়ে নিয়োগ পরীক্ষাই ব্যাহত হয়েছে। পরিস্থিতি যেভাবে উন্নত হবে, সেভাবেই ধাপে ধাপে নিয়োগ প্রক্রিয়াও চালু করবে রেল। যদিও স্বাভাবিকভাবেই রেলের এই যুক্তি মানতে রাজি নন পরীক্ষার্থীদের বড় অংশ। তাদের অভিযোগ, নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারির পর বছরের পর বছর কেটে গেলেও এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র অগ্রসর হতে পারেনি রেলমন্ত্রক। এমনকী যখন বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তার বছরখানেকের মধ্যে করোনার প্রভাব মাত্রাছাড়া হয়ে ওঠেনি। যেহেতু সরকারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা রয়েছে, তাই করোনাকে অজুহাত করে রেলের নিয়োগ প্রক্রিয়ার গড়িমসির কারণে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ।