আর নির্বাচনের দাঁড়াবেন না, উত্তরবঙ্গের দাপুটে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য
নির্বাচনী রাজনীতিকে বিদায় জানাতে চলেছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ বামনেতা অশোক ভট্টাচার্য (Ashok Bhattacharya)। বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে সরকারিভাবে অশোকবাবু জানিয়ে দিলেন, শিলিগুড়ি পুরনিগমের আসন্ন নির্বাচনে তিনি লড়বেন না। তবে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসাবে দলকে জেতানোর চেষ্টা করতে চান তিনি।
শিলিগুড়িতে বাম আন্দোলনের সঙ্গে যে নামটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তিনি অশোক ভট্টাচার্য। বাম জমানার পুরমন্ত্রী। শিলিগুড়ি পুরনিগমের (Siliguri Municipal Corporation) সদ্যপ্রাক্তন মেয়র। রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় বাম নেতা। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয় অশোকবাবুর। তারপরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আগামী দিনে নির্বাচনী রাজনীতিতে আর থাকতে চান না তিনি। কিন্তু রাজ্যে পুরভোটের ডঙ্কা বাজতেই শিলিগুড়ি পুরনিগমে অশোকবাবুর প্রার্থী হওয়া নিয়ে লেখালেখি শুরু হয়ে যায়। তারপরই শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানিয়ে দেন, পুর নির্বাচনে তিনি লড়বেন না। এবং দলকে সেটা আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে, অশোকবাবু জানিয়েছেন, শিলিগুড়িতে বামেদের (Left Front) জয় সুনিশ্চিত করতে নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন হিসাবে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, একটা সময় বামেদের দুর্গ হিসাবে পরিচিত শিলিগুড়িতে এখন লাল-পার্টির সংগঠন অনেকটাই আলগা। গত বিধানসভা নির্বাচনেও অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়িতে তৃতীয় হন। তারপর বামেদের বহু কাউন্সিলর একে একে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে (TMC)। যার ফলে এই মুহূর্তে নতুন করে বামেদের পক্ষে শিলিগুড়ি পুরনিগমে জয় পাওয়াটা বেশ কঠিন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অশোক ভট্টাচার্যর সরে যাওয়ার পিছনে দলের সংগঠনের এই আলগা হওয়া ফ্যাক্টর কিনা, প্রশ্ন উঠছে।
সপ্তাহখানেক আগে দলের জেলা কমিটি থেকেও সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অশোকবাবু। বয়সের কারণে, তাঁর পক্ষে জেলা কমিটিতে আর থাকা হবে না বলে জানিয়েছিলেন অশোকবাবু। দলীয় সূত্রে খবর, আগামী ১১ ও ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির মিত্র সম্মিলনী হলে সিপিএমের (CPM) জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারে।