রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মোদীর নীতিতে বাজারে ঘাটতি পটাশের, সঙ্কটে হুগলির আলুচাষ

December 3, 2021 | 2 min read

রাসায়নিক সারের অভাবের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলির নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, পটাশ না পাওয়া গেলে আলুচাষের প্রয়োজনীয় সার তৈরি করা যাবে না। তাতে বাংলার অন্যতম বৃহৎ আলু উৎপাদন কেন্দ্র হুগলির আলুচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তখন উত্তরপ্রদেশের আলু আমদানি করতে হবে। আর এটাই বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা। বৃহস্পতিবার হুগলিতে জেলাশাসক দীপাপ প্রিয়া পি সারের জোগান স্বাভাবিক রাখতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে এবং তারপরে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘চক্রান্ত’র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূল নেতা মনোজ চক্রবর্তী।

মনোজবাবু সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকেও বলেছি, এটা কেন্দ্রীয় সরকারের চক্রান্ত। তারা সারের জোগান স্বাভাবিক না করলে, কে করবে? শুধু ডিএপি দিয়ে আলুচাষ করা যায় না। ১০:২৬-এর মতো সার প্রয়োজন। পটাশ ছাড়া আলুচাষ স্বাভাবিক হবে না। এদিকে তা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে হুগলির আলুচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উত্তরপ্রদেশ সহ ভিনরাজ্য থেকে আলু কিনতে হবে। এটাই মূল পরিকল্পনা। আমরা বিকল্প হিসেবে তরল পটাশ ব্যবহারের উপরে জোর দিতে উদ্যোগ নিয়েছি। এ সপ্তাহ থেকেই ওই বিষয়ে প্রচার শুরু হবে। জেলাশাসক বৈঠকে জানিয়েছেন, সারের জোগান স্বাভাবিক রাখতে যাবতীয় মজুতদারির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। আলুচাষের মরশুমে কেন্দ্রীয় নীতির কারণে আচমকা পটাশযুক্ত সারের অভাব তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে কিছু ব্যবসায়ী মজুত থাকা পটাশযুক্ত সার বাজারে ছাড়ছেন না।

তাতে রাসায়নিক সারের দাম আচমকা লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা করতে জেলা প্রশাসন এদিন বৈঠক করে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে একাধিক পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঠিক হয়েছে, চলতি সপ্তাহেই আচমকা অভিযান শুরু হবে। সারের গোডাউন থেকে সার ব্যবসায়ীর বাড়ি, সব জায়গাতেই মজুতদারি রুখতে অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এতে সারের কালোবাজারি বন্ধ হবে। পাশাপাশি, তরল পটাশ ব্যবহারের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। ওই রাসায়নিক বাজারে যথেষ্টই পাওয়া যাচ্ছে। কীভাবে তা ব্যবহার করলে পটাশ সারের মতোই সুবিধা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে দেড় লক্ষ লিফলেট ছাপিয়ে প্রচারে নামবে প্রশাসন।

এদিকে, এদিনের বৈঠকেই আলুচাষ নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য প্রশাসনের সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, জেলায় মোট ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়। নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। সার নিয়ে অভিযানের জেরে পরিস্থিতি উন্নত হলে আরও ২০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হতে পারে। কিন্তু তারপরেও ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের কী হবে, তার উত্তর আপাতত মিলছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#potatoes, #Hoogly

আরো দেখুন