রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সমস্যা সমস্যা দূর করতে উদ্যোগী রাজ্য

December 3, 2021 | 2 min read

একদিনেই জেলার মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সব সমস্যা দূর করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলায় জেলায় সিনার্জির দিন স্থির করা হয়েছে। পাশাপাশি চালু শিল্পের সমস্যা দূর করতেও পরিকল্পনা করা হয়েছে। কোন জেলায় কবে সিনার্জি হবে, তার দিনক্ষণ রাজ্য থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় কিছু কিছু শিল্পের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সিনার্জির উদ্দেশ্য সফল করতে জেলায় একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠকও শুরু হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্পের বাধা কাটাতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া জেলায় সিনার্জির আগে জমি সহ সব সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে বলেছিলেন। এবার প্রত্যেক জেলাকে সিনার্জির দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সমস্ত সরকারি দপ্তর হাজির থাকবে। তারমধ্যে এমএসএমই দপ্তর ছাড়াও বিদ্যুৎ, ভূমি, শ্রমদপ্তর, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সুইড, ব্যাঙ্ক সহ একাধিক দপ্তরের জেলা ও রাজ্যস্তরের আধিকারিকরা হাজির থাকবেন। সেখানে উদ্যোগপতি ও কুটির শিল্পের মালিকরা তাঁদের সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। ছাড়পত্র পেতে হয়রানি, ব্যাঙ্কঋণের ক্ষেত্রে গড়িমসি, জমি সমস্যার মতো নানা বিষয় তুলে ধরা যাবে সেখানে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা সেইসব সমস্যার চটজলদি সমাধান করবেন।

জেলায় জেলায় সিনার্জির দিণক্ষণ ঠিক হলেও তা বদল হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে দিন পরিবর্তন করা যেতে পারে। তালিকা অনুযায়ী, ৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনায় সিনার্জির দিন স্থির করা হয়েছে। এই জেলায় মূলত টেক্সটাইল ও কৃষি ভিত্তিক শিল্পের দিকে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর হাওড়ার সিনার্জিতে ইঞ্জিনিয়ারিং, হোসিয়ারি, জুয়েলারি সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর হুগলির সিনার্জিতে প্রাধান্য পাবে কৃষিভিত্তিক শিল্প, সিল্ক প্রিন্টিং। নদীয়া ও পূর্ব বর্ধমানকে নিয়ে একসঙ্গে কৃষ্ণনগরে ২৮ ডিসেম্বর এবং পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াকে নিয়ে ২২ ডিসেম্বর দুর্গাপুরে সিনার্জি হবে। দুর্গাপুরে লোহা, স্টিল, সিমেন্ট, ফ্লাই অ্যাশের ইট, ইঞ্জিনিয়ারিং, পুরুলিয়ার লাক্ষা শিল্পের উপর জোর দেওয়া হবে। কৃষ্ণনগরের সিনার্জিতে গুরুত্ব পাবে টেক্সটাইল, কৃষি ভিত্তিক শিল্প ও পর্যটন শিল্প ইত্যাদি। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদকে নিয়ে সিনার্জি বসবে ২০ জানুয়ারি। সেখানে কৃষি ভিত্তিক শিল্প ও পর্যটনের দিকে বেশি জোর দেওয়া হবে। ২৮ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সঙ্গে কলকাতাকে জুড়ে দিয়ে একটাই সিনার্জি হবে। তাতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সার্জিক্যাল সামগ্রী, আগরবাতি, চামড়া ও পোশাক শিল্পের উপরে জোর দেওয়া হবে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলাকে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে যে সিনার্জি হবে, তাতে ইঞ্জিনিয়ারিং, পোলট্রি ফার্ম, কৃষি ভিত্তিক শিল্প, শালপাতা কিংবা জঙ্গলের সামগ্রী ভিত্তিক শিল্পের দিকে নজর দেওয়া হবে। এছাড়াও জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সিনার্জিতে উলের সোয়েটার, পর্যটনে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#State govts, #industries, #synergy schedule

আরো দেখুন