রাজ্যে আসা কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত সন্দেহ হলে রাখা হবে বেলেঘাটা আইডিতেই
করোনাভাইরাসের নতুন অবতার ‘ওমিক্রন’ ভারতে পৌঁছে গিয়েছে। ওই নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত কেউ যদি এ বার বাংলায় ঢুকে পড়েন, কী করবে প্রশাসন? পরিস্থিতি মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুতি রয়েছে, তা পর্যালোচনা করতে শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতর, পুলিশ-প্রশাসন ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। স্বাস্থ্য-প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রাজ্যে আসা কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই রাখা হবে আলাদা ভাবে।
আইডি হাসপাতাল সূত্রের খবর, এখন সেখানে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীর সংখ্যা কম। তাই অধিকাংশ সময়েই ফাঁকা থাকছে কোভিড ওয়ার্ড। পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন ওমিক্রন আক্রান্তদের একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্ডে আলাদা করে রেখে তাঁদের লালারসের নমুনা পাঠানো হবে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সিঙ্গাপুর ও ইংল্যান্ড থেকে আসা যাত্রীদের প্রথমে বিমানবন্দরেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হবে। তাতে কারও রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে তাঁকে ওমিক্রনে আক্রান্ত সন্দেহের তালিকায় রেখে পাঠানো হবে বেলেঘাটায়। সেখান থেকে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য নমুনা যাবে কল্যাণীতে।
বিমানবন্দরে পরীক্ষায় যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে, তাঁদের বাড়িতে সাত দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে। ফের পরীক্ষা করে দেখতে হবে আট দিনের মাথায়। পুরো বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষণে থাকবে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে বিমানবন্দরে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিয়মে কোনও অদলবদল করা হয়নি। আগে যেমন ঠিক ছিল, অন্য রাজ্য থেকে কলকাতায় আসতে গেলে সঙ্গে ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ়ের সার্টিফিকেট থাকলেই হবে, সেই নিয়ম অপরিবর্তিত থাকছে। যাঁরা টিকার দু’টি ডোজ় নেননি, তাঁদের নমুনা দিয়ে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে কলকাতামুখী বিমানে ওঠার ৭২ ঘণ্টা আগে। সেই পরীক্ষায় রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে।