ই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্ত অসংগঠিত শ্রমিকদের তথ্য চাইল রাজ্য, নিরুত্তর কেন্দ্র
দেশের অসংগঠিত শ্রমিকদের তথ্যসমৃদ্ধ পোর্টাল সাফল্যের সঙ্গেই এগিয়ে চলেছে। ১০০ দিনের মধ্যেই প্রাথমিক টার্গেট পূরণ করে ১০ কোটি শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত হয়েছে এই পোর্টালে। এর মধ্যে সব রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে দু’ কোটির বেশি নাম তুলে শীর্ষে বাংলা।
এদিকে, ই-শ্রম পোর্টালে নথিভুক্ত রাজ্যের অসংগঠিত শ্রমিকদের তথ্য কেন্দ্রের কাছে চেয়ে পাঠাল রাজ্য সরকার। রাজ্য শ্রমদপ্তর সম্প্রতি এব্যাপারে শ্রমমন্ত্রকের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছে। এর আগে পোর্টাল শুরুর মুহূর্তে মুখ্যসচিব শ্রমমন্ত্রকের সচিবকে অসংগঠিত শ্রমিকদের তথ্য আদান-প্রদান নিয়ে কিছু প্রশ্ন তুলে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই সব প্রশ্নের জবাব কেন্দ্রের শ্রমসচিব দিয়েছেন। তবে রাজ্যের নিজস্ব তথ্যভাণ্ডার থেকে অসংগঠিত শ্রমিকদের সম্পর্কে কোনও পরিসংখ্যান কেন্দ্রের এই পোর্টালে এখনও দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে শ্রমমন্ত্রক কিছুটা হলেও বিরক্ত। যদিও বাংলার শ্রমজীবী মানুষ কেন্দ্রের কমন সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে নাম নথিভুক্তিকরণে ব্যাপকভাবে সাড়া দেওয়ায় আপাতত শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলা। তবে শ্রমদপ্তর যে তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে, তা নিয়ে নিরুত্তর কেন্দ্র।
এদিকে, নির্ধারিত সময়ের আগেই ১০ কোটির টার্গেট পূরণ করেছে শ্রমমন্ত্রক। তবে একইসঙ্গে নথিভুক্ত তথ্যভাণ্ডার যাচাই করার পর মন্ত্রকের কর্তাদের সামনে কিছু তাৎপর্যপূর্ণ পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, নথিভুক্ত হওয়া শ্রমিকদের অর্ধেকের বেশি (৫ কোটি ২৩ লক্ষ) কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত বলে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন নির্মাণ শ্রমিকরা। প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ নির্মাণ শ্রমিক নাম লিখিয়েছেন এই পোর্টালে। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন গৃহস্থালির কাজে যুক্ত মানুষজন। তাঁদের সংখ্যা ১ কোটির কাছাকাছি। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে মহিলারা টেক্কা দিয়েছেন পুরুষদের। নথিভুক্ত শ্রমিকদের মধ্যে ৫২ শতাংশই মহিলা। বাকি ৪৮ শতাংশ পুরুষ। সর্বোপরি, নথিভুক্ত শ্রমিকদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ২৭ শতাংশ সাধারণ শ্রেণি (জেনারেল ক্যাটিগরি)-র মানুষ। বাকি প্রায় ৭৩ শতাংশই এসসি, এসটি, ওবিসি সহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের প্রতিনিধি।