মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব ধরনে বামপন্থীদের জায়গাটা নিয়ে নিয়েছেন, মত লোপামুদ্রার
আগামী দিনে তাঁকে রাজনীতির ময়দানে দেখা পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। রাজনীতি নিয়ে নিজের মত জানালেন সঙ্গীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র (Lopamudra Mitra)। একটি অনুষ্ঠানে লোপা জানান, চির দিন মানুষের কাছাকাছি, মানুষের মধ্যেই থাকতে চান। বামপন্থী পরিবারে বড় হয়ে ওঠা লোপামুদ্রার। তাঁর মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব ধরনে বামপন্থীদের জায়গাটা নিয়ে নিয়েছেন। তাই সাবেক বামপন্থীদের নির্বাচনী বিপর্যয়ে তিনি অবাক হন না।
লোপামুদ্রা রাজনীতিতে আসবেন না। কিন্তু কেন? তাঁর সাফ জবাব, ‘‘সক্রিয় রাজনীতিতে আসার ইচ্ছে একদমই নেই। কারণ, স্বচ্ছ ভাবে থাকতে চাই। রাজনীতিতে এতটা স্বচ্ছতা চলে না।’’ কিন্তু জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই যে রাজনীতি মিলেমিশে একাকার তা বুঝতে পারেন। নিজের ছেলেবেলার কথা বলতে গিয়ে লোপামুদ্রার মনে পড়ে যায় বামফ্রন্টের কম্পিউটার বিরোধিতার কথা। তাঁর কথায়, ‘‘কম্পিউটার কি আটকানো গেল? তখনই বুঝেছিলাম কথায় ও কাজে ফারাক হয়ে যাচ্ছে…স্বচ্ছতা নেই।’’ অথচ নিজে আদ্যপান্ত বামপন্থী পরিবারের মেয়ে। লোপামুদ্রা বলেন, ‘‘আমার বাবা-কাকা বামপন্থী মানসিকতার মানুষ ছিলেন। আমার শুরুও সেখান থেকেই। তাঁদের সমালোচনা করতে পারাও সেই মানসিকতা থেকেই।’’
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন বাংলায় বামপন্থীদের অবস্থা শোচনীয়, তখন খারাপ লাগে না? এই প্রসঙ্গেই লোপামুদ্রা তোলেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কথা। বলেন, ‘‘এটা হওয়ারই ছিল। আমাদের বর্তমান সরকার, বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী নিজস্ব ধরনের মধ্যে দিয়ে বামপন্থীদের সেই জায়গাটা নিয়ে নিয়েছেন।’’ বস্তুত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে প্রকৃত বামপন্থী হিসেবে তুলে ধরতে পেরেছেন বলেই মনে করেন লোপামুদ্রা। আর তাই সাবেক বামপন্থীদের নির্বাচনী বিপর্যয়ে অবাক নন শিল্পী। বরং তিনি মনে করেন, এটাই হওয়ার ছিল।