লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হল
লাইফ সার্টিফিকেট (Life Certificate) বা জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়ানো হল এবার। পেনশনারদের জন্য অতিরিক্ত আরও একমাস সময় বাড়াল ডিপার্টমেন্ট অফ পেনশন অ্যান্ড পেনশনারস ওয়েলফেয়ার (Department of Pension & Pensioners Welfare )।
বেঁচে থাকার প্রমাণ হিসাবে প্রতি বছরই জীবন-শংসাপত্র জমা দিতে হয় পেনশন প্রাপকদের। সাধারণ নিয়ম হল, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। এবার পেনশনারদের স্বার্থে সেই সময় আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবধি জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়া যাবে বলে জানানো হল আজ।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মহামারীর কারণে প্রবীণেরা বাড়ির বাইরে খুব একটা বেরোতে পারছেন না। সেই কথা মাথায় রেখেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণেই ডিপার্টমেন্ট অফ পেনশন অ্যান্ড পেনশনারস ওয়েলফেয়ার আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবধি জীবন প্রমাণপত্র জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, কদিন আগেই পেনশনারদের (Pensioner) জন্য নয়া ‘ফেস রেকগনিশন’ (Face Recognition) প্রযুক্তি চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের দাবি, নতুন প্রযুক্তিতে বিশেষ সুবিধা হবে লক্ষ লক্ষ পেনশন প্রাপকদের। এই ব্যবস্থা আসলে লাইফ সার্টিফিকেট পেশ করার মতোই পেনশন প্রাপকদের জীবিত থাকার শংসাপত্রেরও কাজ করবে বলে জানিয়েছিল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় পার্সোনেল মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Jitendra Singh) পেনশনপ্রাপকদের জন্য নতুন ব্যবস্থার উদ্বোধন করে দাবি করেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পেনশনপ্রাপকদের সুবিধার কথা ভেবে আসছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) সরকার। সেই সূত্রেই পেনশন প্রাপকদের জন্য ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট (Digital Life Certificate) ‘জীবন প্রমাণে’র ব্যবস্থা করা হয়। এবার তার সঙ্গে সংযুক্ত হল ‘ফেস রেকগনিশন’ প্রযুক্তি, যা পেনশনপ্রাপকদের সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের ৬৮ লক্ষ পেনশন প্রাপক নন, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ছিলেন যাঁরা কিংবা ইপিএফও-র আওতায় রয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও এই সুবিধজনক ব্যবস্থায় থাকছেন। নতুন ‘ফেস রেকগনিশন’ ব্যবস্থাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।