ভুল বোঝাবুঝিতেই নাগাল্যান্ডের ১৪ গ্রামবাসী সেনার গুলিতে মৃত, সংসদে সাফাই শাহের
ভুল বোঝাবুঝির কারণেই নাগাল্যান্ডে গুলি চলেছিল বলে লোকসভায় বিবৃতিতে জানালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। নাগাল্যান্ডে সেনা এবং আসাম রাইফেলসের গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনাকে ‘গভীর দুঃখজনক’ বলেন তিনি। সেই সঙ্গে সোমবার বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হচ্ছে। পুরো ঘটনার তদন্ত হবে।’’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শনিবার রাতে মন জেলার ওটিং গ্রামের কাছে জঙ্গি ভেবে ভুল করে খনি শ্রমিকদের গাড়িতে গুলি চালিয়েছিল সেনা। অভিযানে ছিলেন, সেনার ২১ জন কমান্ডো। তাঁদের গুলিতে গাড়ির আট যাত্রীর ছ’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত দু’জনকে সেনারাই হাসপাতালে নিয়ে যান বলে জানিয়েছেন তিনি। গুলি চালনার পরই সেনাঘাঁটিতে হামলা হয় বলেও উল্লেখ করেন শাহ।
শাহ বলেন, ‘‘গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনার পর গ্রামবাসীরা এলাকায় আসাম রাইফেলসের শিবিরে চড়াও হলে জওয়ানেরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান। সেই ঘটনায় আরও সাত জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।’’ এর পর ফের জওয়ান-জনতা সংঘর্ষে স্থানীয় এক গ্রামবাসী নিহত হন। গ্রামবাসীদের হামলায় এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
শাহ বলেন, ‘‘গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনার পর গ্রামবাসীরা এলাকায় আসাম রাইফেলসের শিবিরে চড়াও হলে জওয়ানেরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালান। সেই ঘটনায় আরও সাত জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়।’’ এর পর ফের জওয়ান-জনতা সংঘর্ষে স্থানীয় এক গ্রামবাসী নিহত হন। গ্রামবাসীদের হামলায় এক সেনা জওয়ানের মৃত্যু ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
শাহ জানান, এক মাসের মধ্যেই রিপোর্ট পেশ করবে বিশেষ তদন্তকারী দল। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য় ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের এক আধিকারিক কোহিমায় গিয়েছেন।’’
নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর-স্থিত ভারতীয় সেনার ৩ নম্বর কোরের তরফে আগে জানানো হয়েছে, ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েই সন্ত্রাসবাদীদের ধরতে ওটিং গ্রামে অভিযান চালায় সেনা জওয়ানরা।’ পাশাপাশি, ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশও করেছে সেনা। সোমবার শাহেও সেনার ওই বিবৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতের ওই গুলিচালনার ঘটনায় তদন্তে আগেই পৃথক কমিটি গঠন করেছেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীও নেইফিউ রিও।