আইএসএল-এ আবার লজ্জার হার এটিকে মোহনবাগানের
আক্রমণে জোড় বাড়ালেও বহু সুযোগ নষ্ট, সেইসঙ্গে রক্ষণের দুর্বলতা| যার খেসারত হার দিয়েই দিতে হল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে| জামশেদপুর এফসির কাছে হার এটিকে-মোহনবাগানের| ১-২ গোলে হেরে আইএসএলের পয়েন্ট টেবিলে চার থেকে পাঁচ নম্বরে নেমে গেলেন রয় কৃষ্ণারা|
মুম্বইয়ের কাছে পাঁচ গোল খাওয়া| সেই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জামশেদপুরের বিরুদ্ধেই জয়ের রাস্তায় ফিরতে চেয়েছিলেন আন্তোনিও লোপেজ হাবাস| ম্যাচের আগেই জানিয়েছিলেন তিনি| জামশেদপুরের রক্ষণটা শক্তিশালি| তাই তো আক্রমণের ওপরই এদিন জোর দিয়েছিলেন মোহনবাগান কোচ| কিন্তু আবারও সেই সুযোগ নষ্টের খেলা মোহনবাগান স্ট্রাইকারদের| সেইসঙ্গে রক্ষণে হাবাসের তিন ডিফেন্ডারের ছক| হাবাসের ভুল স্ট্র্যাটেজিতই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় মোহনবাগানের|
৩-৪-৩ ছকে রয় কৃষ্ণা, হুগো বুমোসের সঙ্গে জনি কাউকোকে খেলিয়েছিলেন এটিকে-মোহনবাগান কোচ| সেইমতো শুরু থেকে আক্রমণেও যাচ্ছিল মোহনবাগান| সুযোগ পেয়ে গোলের কাছে পৌঁছে গেলেও বারবার ফিনিশ করতে ব্যর্থ হচ্ছিল তারা| জমাট রক্ষণের পাশাপাশি, পাল্টা আক্রমণ যে জামশেদপুরও চালাচ্ছিল না তেমনটা নয়|
এমনই একটা হঠাত্ আক্রমণেই জামশেদপুর এফসির প্রথম সাফল্য| মোহনবাগান রক্ষণের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে মোহনবাগানের জালে বল জড়িয়ে দিয়ে যান ডঙ্গেল| এগিয়ে যায় জামশেদপুর এফসি| যদিও মোহনবাগানও সহজে ছেড়ে দেওয়ার দল নয়|
এরপর থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকে এটিকে-মোহনবাগান শিবির| জনি কাউকোর পাস থেকে কখনও রয় কৃষ্ণার জোরালো শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট| তো কখনও রক্ষণের দুরন্ত কভারে গোলের কাছে গিয়েও ব্যর্থ হন কৃষ্ণা| হুগো সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি|
বিরতির পর মাঝমাঠকে শক্তিশালি করত কাউকোকে মিডফিল্ড পজিশনে নিয়ে আনেন হাবাস| রয় কৃষ্ণাদের সঙ্গী তখন ডেভিড উইলিয়ামস| বিরতির পর হার্ড ফুটবল শুরু| জামশেদপুর এগিয়ে থাকায় তখন ঘর সামলে আক্রমণের ছক| মোহনবাগান বারবার অলআউট আক্রমণে জামশেদপুরের বক্সে চাপ বাড়াতে থাকে| কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনা| বরং পাল্টা আক্রমণে ৮৪ মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়িয়ে ফেলে জামশেদপুর এফসি|
শেষ মুহূর্তে প্রীতম কোটাল এক গোল শোধ দিলেও, কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরী হয়ে গিয়েছিল| আবারও ৩ পয়েন্ট হাতছাড়া করেই মাঠ ছাড়তে হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডক|