আফস্পা প্রত্যাহার করার দাবিতে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিল তৃণমূল
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নাগাল্যান্ডের ঘটনাকে সামনে রেখে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। দলের লোকসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের সাত সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল খুব শীঘ্রই শাহের কাছে যাবেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই শাহের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আফস্পা প্রত্যাহার করার দাবি সম্বলিত স্মারকলিপিও জমা দেবেন তারা।
এদিন দিল্লিতে সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক সারলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখানেই এই নির্দেশ দেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করবে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সেখানে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রাজ্যের বকেয়া পাওনাও তুলে ধরবেন।
তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় ফেরার সর্বভারতীয়স্তরে সংগঠন বৃদ্ধি করছে তৃণমূল। তার পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের। বারবার একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। এমনকী, দলীয় মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’তেও রাহুল গান্ধীরও সমালোচনা করা হয়েছে। মুম্বই সফরে গিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, “এখন ইউপিএ বলে কিছু নেই।” সংসদীয় অধিবেশনে সেই দূরত্ব চোখে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও উঠে এল কংগ্রেস প্রসঙ্গও।
সর্বভারতীয়স্তরে তারা কংগ্রেসের কাছাকাছি আসবে নাকি দূরত্ব বাড়াবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বৈঠকে। জানা গিয়েছে, কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার বার্তাই দিয়েছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, “আমরা আলাদা দল হিসেবে অস্তিত্ব বজায় রাখব সংসদে। সংসদের বিভিন্ন ইস্যু আছে। ইস্যুভিত্তিক বিরোধিতা চলবে। কংগ্রেসের সঙ্গে যাওয়া, না যাওয়া কোনও ব্যাপার নয়।” যা দেখে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, এদিন কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার নীতিতেই সিলমোহর দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।