রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

অতিবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষীদের বীমা করা যাবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত

December 8, 2021 | 2 min read

 অসময়ের অতিবৃষ্টিতে নষ্ট ফসলের জন্য বাংলা শস্যবিমার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমন ধান, আলু-সহ বিভিন্ন রবিশস্যের উপর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ আছে। অতিবৃষ্টিতে যেসব আলু চাষি ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, অথচ বিমা করেননি, তাঁদের এখনও বিমা করিয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। রবি মরশুমে শস্যবিমার জন্য রাজ্য কৃষিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আলুর চাষের উপর বিমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করানো যাবে।


বাংলা শস্যবিমা পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষিবিমা সংস্থাটির এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, বোরো ধান ছাড়াও আলুর  ক্ষেত্রে ‘প্রিভেন্টেড/ ফেইলড সোয়িং’-এর সুবিধা আছে। এটা থাকলে বীজ লাগিয়ে চাষ শুরু করার প঩রেই ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে মোট বিমা রাশির ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। খরিফ মরশুমে আমন ধানে এই সুযোগ ছিল। এবারের খরিফ মরশুমের গোড়াতেই দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় আমন ধানের ক্ষতি হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রিভেন্টেড/ ফেইলড সোয়িং খাতে মোট ৪০ কোটিরও বেশি টাকা বিমার ক্ষতিপূরণ খাতে চাষিরা পেয়েছেন। 


এবারের বৃষ্টিতে কয়েকটি জেলায় মাঠে থাকা আমন ধানের ক্ষতি হয়েছে। ধান কাটার নির্ধারিত সময়সীমার (১৫ ডিসেম্বরের) মধ্যে এই ক্ষতি হওয়ায় বাংলা শস্যবিমার আওতায় ক্ষতিপূরণ মিলবে বলে কৃষিবিমা সংস্থাটি জানিয়েছে। এখন স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবির সাহায্যে ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি সরেজমিনেও নিরূপিত হয়। আমন ধানের ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ভিত্তিতে ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কৃষিবিমা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রক্রিয়া খুব দ্রুত শুরু করা হবে। আমন ধানের মরশুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন ক্ষতির মাত্রা অনুযায়ী বিমা রাশির ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ আছে। 

প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবারই নবান্নে কৃষিদপ্তরের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বিমা সংস্থার আধিকারিকদের জরুরি বৈঠক হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত আলু চাষিদের বিমা করানোর জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। গত মরশুমে প্রায় ৪ লক্ষ আলু চাষি বাংলা শস্যবিমা করেন। এবারের ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যাটি আরও বড় হতে পারে। যেসব চাষি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে আলু চাষ করেন তাঁদের বিমা করানো হয় ব্যাঙ্ক থেকেই। বিমা সংস্থার প্রতিনিধিরা সেখানে থাকেন। অন্য চাষিরা পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে ফর্ম পূরণ করে বিমা করাতে পারবেন। আলুর বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের সর্বোচ্চ ৪.৮৫ শতাংশ চাষিকে দিতে হয়। বাকিটা দেয় রাজ্য সরকার। রবি মরশুমে আখের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা রয়েছে। বোরো ধান, গম, বিভিন্ন ডাল, তৈলবীজ প্রভৃতির জন্য বাংলা শস্যবিমায় প্রিমিয়ামের পুরোটাই রাজ্য সরকার দিয়ে থাকে। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #farmers, #Potato, #rainfall

আরো দেখুন