মেঘালয়ে জোড়াফুলের আরও শক্তিবৃদ্ধি, তৃণমূলে যোগ দিলেন যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি
মেঘালয়ে আরও শক্তি বাড়ল তৃণমূলের। এবার ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন যুব কংগ্রেসের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি রিচার্ড মারাক। সেই সঙ্গে মেঘালয় কংগ্রেসের যুব সংগঠনের অধিকাংশ নেতাই নাম লেখালেন তৃণমূল শিবিরে। যা তৃণমূলের শক্তিবৃদ্ধির পাশাপাশি কংগ্রেসের জন্য বড়সড় ধাক্কা।
মুকুল সাংমা যোগ দেওয়ার পর মেঘালয়ে তৃণমূলের শক্তি আরও বাড়বে, সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। কংগ্রেসের যুব সভাপতি রিচার্ড মারাক সাংমার ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। সাংমা তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই তাঁর ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখানো নিয়ে জল্পনা চলছিল। গত শুক্রবার সদলবলে কংগ্রেস ছাড়েন তিনি। তাঁর সঙ্গে দল ছাড়েন যুব কংগ্রেসের আরও শ’পাঁচেক কর্মী। কংগ্রেস ছাড়ার সময় মুকুল সাংমার সুরেই মারাক দাবি করেন, মেঘালয়ে বিরোধী হিসাবে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।
বুধবার গারোর নিউ তুরা ল’ কলেজে রীতিমতো জনসভা করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মারাক। তাঁর সঙ্গে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের বহু পদাধিকারীও যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যে সব শীর্ষ স্থানীয় যুবনেতা এদিন তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে চারজন ২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এদের যোগদানে উত্তরপূর্বের এই রাজ্যে তৃণমূলের যুব সংগঠন অনেকটাই পোক্ত হল।
গত ২৫ নভেম্বর সদলবলে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা-সহ ১২ জন বিধায়ক। এরাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞার উপস্থিতিতে ঘাসফুল শিবিরের পতাকা হাতে তুলে নেন তাঁরা। আর তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মুকুল সাংমার দলত্যাগের পর এই মুহূর্তে কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান সেরাজ্যের বহু নেতাই। তাই মারাকের মতো বহু নেতা আগামী দিনে তৃণমূলে নাম লেখালে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।