দেশ বিভাগে ফিরে যান

কোন স্বার্থে সিবিআই ও ইডির ডিরেক্টর পদের মেয়াদ বৃদ্ধি? সংসদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

December 10, 2021 | 2 min read

পছন্দের ব্যক্তিকে দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যেই সিবিআই-ইডির ডিরেক্টর পদের মেয়াদ বাড়াচ্ছে মোদী সরকার। দুই গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় তদন্ত প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পদের মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিলের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার লোকসভায় এই মর্মেই অভিযোগের আঙুল তুলে তোপ দাগল তৃণমূল ও কংগ্রেস। মোদী বিরোধী রাজনৈতিক ময়দানের লড়াইয়ে একজোট হওয়ার ক্ষেত্রে সোনিয়া-মমতার দলের মিল না হলেও সংসদে বিজেপি বিরোধিতায় তাদের সুর গেল মিলে। দুই দলের এমপিরাই বিলের বিরোধিতায় সরব হলেন।

পদের মেয়াদ বাড়ালেই কি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা বেড়ে যায়? তাহলে এতদিন হয়ে গেল সারদা, রোজভ্যালি চিটফান্ড মামলায় বিচার কেন শুরু হল না? কেন আমাদের নেতাকে অহেতুক ৯ ঘন্টা জেরা করা হল? কেন অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও আমাদের এক নেতাকে অহেতুক আট মাস জেলে আটকে রাখা হল? বিরোধীদের হেনস্থা করতেই ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করছে মোদী সরকার। এই মর্মেই লোকসভায় ফুঁসে উঠলেন তৃণমূল এমপি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগের আঙুল তুলে এও বললেন, সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করলেও ফোনে আড়িপাতা হচ্ছে কেন?

তৃণমূলের মুখ্যসচেতকের তোপ, ইডি-সিবিআই ডিরেক্টর পদের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছুই নয়। নাহলে যে সিবিআইকে সুপ্রিম কোর্ট ‘খাঁচায় বন্দি তোতা’ বলে কটাক্ষ করেছে, তার নিরপেক্ষ তদন্তের বিশ্বযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। তাছাড়া সিবিআইয়ের ডিরেক্টর নির্বাচনে দেশের প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা, তিন সদস্যের কমিটি দু’বছরের জন্য কাউকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু এখন আচমকা তার মেয়াদ বাড়িয়ে তো সরকার সেই কমিটিকেই অবজ্ঞা করছে। এমনই মন্তব্য জুড়ে সরকারকে প্যাঁচে ফেলে দেন কল্যাণবাবু। সিবিআইয়ের হাতে বহু মামলার তদন্তই অসমাপ্ত পড়ে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। রাজ্যের অনুমতি না নিয়েই সিবিআই তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতেই হস্তক্ষেপ করা হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।

একইভাবে সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার সুর চড়ান লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন, এভাবে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ঩আইন তৈরি করে আদতে নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে সরকার। কারণ, যোগ্যতা বা কর্মদক্ষতা নয়। বশ্যতার বার্তা দি঩তেই এই বিল আনা হচ্ছে। সরকারের কথামতো যে চলবে, তাঁর পদোন্নতি হবে। মেয়াদ বাড়বে। এতে সিবিআইয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা বজায় থাকবে তো? প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইভাবে বিরোধিতায় সরব হন ডিএমকে’র এ রাজা, কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি, এনসিপি’র সুপ্রিয়া সুলের মতো এমপিরা। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাশ হয়ে গেল ‘দ্য দিল্লি স্পেশাল পুলিস এস্টাবলিশমেন্ট (সংশোধনী) বিল ২০২১’ এবং ‘দ্য সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সংশোধনী) বিল ২০২১।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Parliament, #centre, #CBI

আরো দেখুন