পুরভোট মামলার রায় আগামী সোমবার ঘোষণা হবে
পুরভোট (WB Civic Poll) সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি শেষ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HighCourt) এই মামলার রায় ঘোষণা করতে পারে। শুক্রবার দীর্ঘ শুনানি চলে। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার ব্যাপারে আদালতে ক্ষমাও চান অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায়। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব পুরসভার ভোট ও গণনার দিনক্ষণ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কেন জানানো গেল না, তা নিয়ে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের তোপের মুখে পড়েন এজি। একটা ভোটের নির্ঘণ্ট জানাতে কত সময় লাগে, জানতে চান প্রধান বিচারপতি। সেই প্রসঙ্গেই ক্ষমা চেয়ে নেন এজি। তিনি বলেন, ‘এপ্রিলের মধ্যে সব ভোট করানোর কথা বলেছিলাম। পরে মে মাসের মধ্যে সব ভোট করানোর প্রস্তাব দিয়েছি। কবে কোন পুরসভার ভোট হবে সেই তথ্য আমাদের কাছে ছিল না। তাই জানাতে পারিনি। মে মাসের মধ্যে ভোট করাতে না পারলে আদালতে জানাব।
কোন দিন কোন পুরসভায় কত দফায় ভোট হবে, জানতে চায় আদালত। রাজ্য জানায়, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ভোট শেষ হওয়ার পর দিনক্ষণ জানানো হবে। করোনা পরিস্থিতি, ইভিএমের পরিমাণ এসব মাথায় রেখেই সময় চাওয়া হচ্ছে। শুক্রবারের শুনানিতে উঠে আসে ভিভিপ্যাট প্রসঙ্গও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র জানান, সব পুরসভার ভোট করতে ৩০ হাজারের বেশি ইভিএম লাগবে। কমিশনের হাতে ইভিএম আছে মাত্র ১৫ হাজার। তাঁর দাবি, আঞ্চলিক ভোটে কোনও রাজ্যেই ভিভিপ্যাট ব্যবহার করে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি ত্রিপুরা পুরসভা, বিহারের পঞ্চায়েতে ভিভিপ্যাট ছাড়াই ভোট হয়েছে। আরও অনেক রাজ্যেও আঞ্চলিক ভোট হয়েছে ভিভিপ্যাট ছাড়া।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর আরও যুক্তি সাধারণ ইভিএম থেকে ভিভিপ্যাট যুক্ত M3 ইভিএম অনেক ভাল। এই মেশিন ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দরকার। তার জন্য অনেক সময় লাগবে। এজির অভিযোগ, যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁরাও ভোটের প্রার্থী দিয়েছেন। অথচ আদালতে বলা হচ্ছে, প্রার্থী দেওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পর বিচারপতি জানান শুনানি শেষ। সোমবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হতে পারে।