বিয়ে করলেন লালু পুত্র তেজস্বী যাদব
কথা ছিল শুধু বাগদান হবে। কিন্তু বাগদানের পর বিয়েটাও সেরে ফেললেন লালু-পুত্র তেজস্বী যাদব। পাত্রী কে হবেন, তা নিয়ে সব জল্পনারও অবসান ঘটল। তেজস্বীর ঘরনি হলেন তাঁর বাল্যবন্ধু রাচেল অ্যালেক্সিস ওরফে রাজশ্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নবদম্পতির ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। দিল্লির আর কে পুরমের ডিপিএসে সহপাঠী ছিলেন তেজস্বী-রাচেল। যদিও বছর ছয় তাঁরা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হন। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তেজস্বীর বড় দিদি রোহিনী আচার্য। বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি হাজির হতে পারেননি। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাই ও তাঁর স্ত্রী রাচেলকে তিনি শুভেচ্ছা জানান। তাঁর টুইট, ‘আমি কাছে না থাকলেও আমার আশীর্বাদ তোমাদের সঙ্গে আছে। টুটু (তেজস্বীর ডাকনাম) ও রাচেলকে শুভেচ্ছা।’
রাচেল-তেজস্বীর প্রেমের শুরু ছ’বছর আগে। কিন্তু তাঁরা কবে বিয়ে করবেন, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। তেজস্বী বরাবরাই বলতেন, তাঁদের বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন উভয়পক্ষের বাবা-মা। জানা গিয়েছে, ছেলের এই সম্পর্কে খুশি ছিলেন না লালুপ্রসাদ। রাচেল ইহুদি সম্প্রদায়ভুক্ত। তাই ছেলে কোনও ইহুদি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখুক, তা নাকি লালু চাননি। সূত্রের খবর, লালু প্রথম যেদিন রাচেলের কথা শুনেছিলেন সেদিনই তেজস্বীর উপর রেগে গিয়েছিলেন। তবে বড় ছেলে তেজপ্রতাপের বিবাহবিচ্ছেদ এবং আরজেডির আগামী দিনের নেতা হিসেবে তেজস্বীর উত্থান, লালুকে দোটানার মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। আরজেডি প্রধানের ইচ্ছায় রাজনৈতিক পরিবারেই বিয়ে হয়েছিল বড় ছেলের। তবে কয়েক মাস পর থেকেই অশান্তি শুরু। তেজপ্রতাপের প্রাক্তন স্ত্রী ঐশ্বর্য রায় শেষমেশ যাদব পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় তেজপ্রতাপের। বড় ছেলের বিয়ে যাদব পরিবারের সম্মানে অনেকটাই আঘাত দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, দিল্লির বাসিন্দা রাচেল সাধারণ পরিবারের মেয়ে। তাঁর বাবা চণ্ডীগড়ের এক স্কুলে অধ্যক্ষ ছিলেন। রাচেল ছিলেন এয়ারহোস্টেস। গত ছ’বছর তেজস্বী প্রায়শই দিল্লি যেতেন। উদ্দেশ্য ছিল রাচেলের সঙ্গে দেখা করা। বিয়ের পর রাচেলের নাম বদলে রাখা হয় রাজশ্রী যাদব।