শিলিগুড়ি পুরসভায় জিততে নাগরিক পরিষেবা এবং উন্নয়নই হাতিয়ার তৃণমূলের
দীর্ঘ অতিমারির কারণে মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পরেও পৌরসভা নির্বাচন করা যায়নি রাজ্যের একাধিক পুরসভায়।
সূত্রের খবর, এ বছর কলকাতা পৌরসভার নির্বাচনের পরে, আগামী বছরই বাংলার বকেয়া পৌরসভাগুলির নির্বাচন হতে চলেছে।
নির্বাচন বকেয়া আছে এমন পৌরসভাগুলির মধ্যে রয়েছে, শিলিগুড়ি পৌরসভাও। উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম পৌরসভা হল শিলিগুড়ি পুরনিগম। বতর্মানে প্রশাসক বোর্ডের মাধ্যমেই পৌরসভার কাজ চালান হচ্ছে।
রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরেও তৃণমূল এই পৌরসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়ন করছে। তথ্য-পরিসংখ্যান বলে স্বাধীনতার পরে উত্তরবঙ্গে এমন উন্নয়ন হয়নি, যতটা বিগত এক দশকে হয়েছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূলের অধরা থেকে গিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
এবার সেই শিলিগুড়ির মাটিতেই ঘাসফুলের জমি শক্ত করতে নাগরিক পরিষেবা ও উন্নয়নকে হাতিয়ার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
একদিকে প্রশাসনিক বোর্ডের মাধ্যমে এলাকার প্রতিটি প্রান্তে সর্বস্তরের মানুষের কাছে সব রকম সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আর অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও নানান উন্নয়নমূলক সংস্থাগুলির মাধ্যমে এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করা হচ্ছে। মূলত পরিকাঠামোগত উন্নয়নকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। শিলিগুড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের তরফে সড়ক পরিবহন ও নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ হতে চলেছে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে দেবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় এই প্রকল্পগুলি গড়ে উঠতে চলেছে। ৪৭ টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রায় ১৭টি ওয়ার্ডই এই অঞ্চলে অবস্থিত। এক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের কথায়, উত্তরের অন্যতম বড় পুরনিগমের ক্ষমতা দখল করতে উন্নয়নকেই একমাত্র অস্ত্র করতে চলেছে জোড়াফুল শিবির।
পাশাপাশি জানা গিয়েছেন, ১১তম শিলিগুড়ি মহকুমা বইমেলা, এবার শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে আয়োজিত হতে চলেছে। বইমেলা চলবে আগামী ১৩ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।