ঘূর্ণিঝড়ের জন্য চরম সঙ্কটে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূল
উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের দরুন আরব সাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর আগের চেয়ে বেশি উত্তাল, বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। এই সাগর ও মহাসাগরগুলিতে আগের চেয়ে বেশি ঘনঘন সাইক্লোন হচ্ছে। তার তীব্রতাও বেশি হচ্ছে। আর এই সব সাইক্লোনের জন্য গুজরাত ও মহারাষ্ট্র উপকূলের চেয়ে বেশি বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূল। বিপদাপন্ন হয়ে পড়েছে পুদুচেরিও।
রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ। তিনি বলেছেন, ১৮৯১ থেকে ২০০০ সাল, টানা ১১০ বছরের তথ্যাদি খতিয়ে দেখে বিজ্ঞানীরা এই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন।
রাজ্যসভায় লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী এও জানিয়েছেন, যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা যাচ্ছে, আরব সাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে জন্মানো প্রতি পাঁচটি সাইক্লোনের মধ্যে তিনটিরই পরিণতি হয় নিকটবর্তী উপকূলে আছড়ে পড়ে। যাকে ‘ল্যান্ডফল’ বলা হয়। এই ল্যান্ডফলের ঘটনায় ভারতের পূর্ব উপকূল বেশি বিপদাপন্ন হয়ে পড়ছে দেশের পশ্চিম উপকূলের তুলনায়। কারণ, আরব সাগরে তৈরি হওয়া সাইক্লোনগুলির বেশির ভাগই মহারাষ্ট্র বা গুজরাতের উপকূলে আছড়ে না পড়ে চলে যাচ্ছে ওমান বা ইয়েমেনের উপকূলে।
তবে সাইক্লোনের দৌলতে দেশের দুই প্রান্তের উপকূলেই যে মৌসম ভবনের সঠিক পূর্বাভাসের জন্য আগের চেয়ে প্রাণহানির সংখ্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব হয়েছে সে কথাও জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।