আধারের সঙ্গে লিঙ্ক না করলে মিলবে না রেশন, নির্দেশ খাদ্যদপ্তরের
রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে খাদ্যদপ্তর। তবে খাদ্যদপ্তর একইসঙ্গে এই নির্দেশও দিয়েছে যে, ই-পস যন্ত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আধার নম্বর যাচাই করা না গেলেও প্রকৃত রেশন গ্রাহকদের খাদ্যশস্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আধার নম্বর যাচাই করতে গিয়ে রেশন গ্রাহকদের একটা অংশ যে সমস্যায় পড়ছে, সেই অভিযোগ এসেছে নবান্নের শীর্ষ স্তরে। এরপর নবান্নের নির্দেশেই খাদ্যদপ্তর সক্রিয় হয়। এই অবস্থায় কী করণীয়, তা খাদ্যদপ্তরের আঞ্চলিক পর্যায়ের আধিকারিকদের লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বয়সজনিত কারণে বেশ কিছু গ্রাহকের আধার নম্বর ই-পস যন্ত্রে যাচাই করা যাচ্ছে না। আবার ইন্টারনেট পরিষেবার দুর্বলতার কারণেও কোথাও কোথাও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। এদিকে, আধার নম্বর যাচাইয়ের ব্যাপারে রেশন ডিলারদের উপর চাপ রয়েছে। আধার নম্বর যাচাই না করে তাঁরা গ্রাহকদের খাদ্যশস্য দিলে এতদিন তাঁদের জবাবদিহি করতে হচ্ছিল। ফলে পাকে-চক্রে অনেক গ্রাহকই রেশন পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ। খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে রেশন গ্রাহকদের ৭০ শতাংশের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ হয়েছে। ইদানীং এই কাজে আরও গতি এসেছে।
খাদ্যদপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে কোনও গ্রাহকের তথ্য যাচাই করা না গেলেও যদি দেখা যায়, তিনি আধার নম্বরটি ঠিক বলছেন, তাহলে তাঁকে চাল-গম দিতে হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টের আধার নম্বর যদি সংযুক্ত করা না হয়ে থাকে, তাহলে তা করে দিতে হবে। রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্র, খাদ্যদপ্তরের স্থানীয় অফিস, দপ্তরের ওয়েবসাইট বা বিশেষ অ্যাপ থেকে তা করা যাবে। পরিবারের একজন সদস্যের আধার সংযুক্তিকরণ হলে তিনি পরিবারের বাকিদের খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে পারবেন। কোনও গ্রাহকের আধার নম্বর না থাকলে বা কোনও কারণে সংযুক্তিকরণ করে উঠতে না পারলে সেই ব্যক্তিকে বিনা যাচাইয়েই খাদ্যশস্য দেওয়া যাবে। তবে ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাঁদের আধার কার্ড তৈরি করা ও তা যুক্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে। কিন্তু কোনও বৈধ গ্রাহককে কোনও অবস্থাতেই খালি হাতে ফেরানো যাবে না।
জয়েন্ট ফোরাম ফর ওয়েস্ট বেঙ্গল রেশন ডিলারসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু জানিয়েছেন, বৈধ রেশন গ্রাহকদের হেনস্তা এবার কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফোরামের উদ্যোগে ডিলাররা ইতিমধ্যেই তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাতে শুরু করেছেন।