বর্ধমানের নতুন পুরপ্রশাসক হলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা
সামনেই পুরভোট। তাই তড়িঘড়ি বর্ধমান পুর প্রশাসকের শূন্যস্থান পূরণ করল রাজ্য প্রশাসন। শুধু তড়িঘড়ি শূন্যস্থান পূরণ নয়, পুরসভা দখলে রাখতে পরিচিত ‘পুরোনো মুখ’-এর উপরই ভরসা রাখল জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। বর্ধমানের পুর প্রশাসকের দায়িত্বে এলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতাজ সঙ্ঘমিতা। মঙ্গলবারই এবিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।
বর্ধমানের পুর প্রশাসক কে হবেন, তা নিয়ে গত দু-তিনদিন ধরেই জেলা জুড়ে শুরু হয়েছিল জোর জল্পনা। অনেকেরই নাম উঠে আসছিল। সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পুর প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক মমতাজ সঙ্ঘমিতা।
এদিনই বর্ধমানের টাউন হলে নতুন পুর প্রশাসক হিসাবে মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে সম্বর্ধনা জানান স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। তাঁদের মধ্যে উন্মাদনাও ছিল তুঙ্গে। শহর দেখভালের দায়িত্ব পেয়ে খুশি সঙ্ঘমিতাদেবীও। তিনি বলেন, ‘আমাকে পুর প্রশাসক করা হয়েছে জানতে পেরে খুব অবাক হয়েছিলাম। পাশাপাশি অত্যন্ত আনন্দিত। বর্ধমান আমার চিরকাল মনের মধ্যে আছে। বর্ধমানের জন্য কিছু করতে পারলে ভাল লাগে। আগে যখন সাংসদ ছিলাম, তখন পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান একসঙ্গে ছিল। এখন পুরো শহরটাকে দেখতে হবে।’
পুর প্রশাসক হিসাবে এদিন মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হলেও এখনও তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি। তবে শীঘ্রই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি। উপ-পুরপ্রধান আইনুল হক সহ পুর প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বর্ধমান শহরের নাগরিকদের ভাল পরিষেবা দিতে পারবেন বলেও আশাবাদী সঙ্ঘমিতাদেবী। তাঁর কথায়, ‘সকলে মিলে বর্ধমান শহরকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারব ও ভালো পরিষেবা দিতে পারব। আগামী দিনেও ভালো কাজ করব বলে আশা করছি।’ এদিন মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপ-পুর প্রশাসক আইনুল হক সহ প্রশাসক মণ্ডলীর অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
পুর প্রশাসক হিসাবে বর্ধমান শহরের কোন বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেবেন তিনি? সঙ্ঘমিতাদেবী বলেন, ‘এখন সারা বছর ধরেই বৃষ্টি হয় এবং বৃষ্টিতে রাস্তায় জল জমে যায়। তাই রাস্তাঘাট, নিকাশি ও বিদ্যুৎ পরিষেবাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। পানীয় জলের ব্যবস্থাও দেখব। তবে বস্তি এলাকাগুলিকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার চিটফান্ড কাণ্ডে বর্ধমানের পুর প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তার পরদিন থেকেই নতুন পুর প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে জোর তৎপরতা শুরু হয়। পুরসভা পরিচালনার কাজে যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে অতি দ্রুত নতুন পুর প্রশাসক নিয়োগ করার কথা জানিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তারপর পুর প্রশাসক গ্রেপ্তারের পাঁচ দিনের মাথাতেই নতুন পুর প্রশাসকের নাম ঘোষণা করা হল।
পুর প্রশাসক হিসাবে এদিন মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হলেও এখনও তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেননি। তবে শীঘ্রই দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি। উপ-পুরপ্রধান আইনুল হক সহ পুর প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে বর্ধমান শহরের নাগরিকদের ভাল পরিষেবা দিতে পারবেন বলেও আশাবাদী সঙ্ঘমিতাদেবী। তাঁর কথায়, ‘সকলে মিলে বর্ধমান শহরকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারব ও ভালো পরিষেবা দিতে পারব। আগামী দিনেও ভালো কাজ করব বলে আশা করছি।’ এদিন মমতাজ সঙ্ঘমিতাকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপ-পুর প্রশাসক আইনুল হক সহ প্রশাসক মণ্ডলীর অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।