রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা সংস্থাগুলির পুনরুজ্জীবন নিয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট
রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির পুনরুজ্জীবন ঘটানো হোক। পারচেজ অর্ডারের মাধ্যমে এই সংস্থাগুলির ভ্যাকসিন উৎপাদনের পূর্ণ ক্ষমতাকে ব্যবহার করুক সরকার। এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন পেশ হয়েছিল। এবিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে বক্তব্য জানাতে বলল শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং এ এস বোপান্নার বেঞ্চে সোমবার সরকারের তরফে উপস্থিত হয়েছিলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। অতিরিক্ত সলিসিটার জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটিও কেন্দ্রের তরফে হাজির ছিলেন এদিনের শুনানিতে। সলিসিটার জেনারেল মেহতা আদালতে বলেন, বিষয়টি নীতিগত সিদ্ধান্তের আওতায় পড়ে। তাই নোটিস ইস্যু করার প্রয়োজন নেই। মেহতার বক্তব্য শোনার পর দুই সদস্যের বেঞ্চ বলে, সরকারের নীতি কী, আমরা তা জানতে চাই। কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির তরফে সলিসিটার জেনারেল উপস্থিত হয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে এবিষয়ে সরকারকে বক্তব্য জানাতে হবে। তারপর সরকারের যদি কোনও আপত্তি থাকে, তাহলে তা জানানোর জন্য তিন সপ্তাহ সময় মিলবে। সুপ্রিম কোর্টে আবেদনটি পেশ হয়েছিল প্রাক্তন আইএএস অমূল্যরত্ন নন্দা, অল ইন্ডিয়া ড্রাগ অ্যাকশন নেটওয়ার্ক, লো কস্ট স্ট্যান্ডার্ড থেরাপেটিক্স ও মেডিকো ফ্রেন্ড সার্কেলের তরফে। আবেদনকারীদের হয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কলিন গঞ্জালভেস। আবেদনে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে পূর্ণ স্বশাসন দেওয়া হোক। সরকারের টিকা কেনার প্রক্রিয়া বা যে কোনওরকম টিকা উৎপাদনের কাজে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকেই যেন বাদ না দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির পুনরুজ্জীবনে ২০১০ সালের জাভিদ চৌধুরী কমিটির রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়। আবেদনে বলা হয়েছে, ভারত প্রাচীনতম রাষ্ট্রায়ত্ত টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার আতুঁড়ঘর। এর মধ্যে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল ২৫টি সংস্থা। গত শতাব্দীর আটের দশকের মধ্যে আরও ২৯টি সংস্থা তৈরি হয়। এর একমাত্র লক্ষ্য ছিল, টিকা উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা। এর জেরে শিশুমৃত্যু ঠেকাতে ১৯৮৬ সালে গৃহীত অভিন্ন টিকাকরণ কর্মসূচিতে সাফল্যও মেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার অঙ্গ হিসেবে ভারত সেই টিকাকরণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিল।