রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

পশ্চিমবঙ্গে লাইব্রেরিতে মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৭১টি, জানাল কেন্ত্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক

December 14, 2021 | 2 min read

সারা দেশে সংস্কৃতি মন্ত্রকের আওতায় থাকা লাইব্রেরিগুলোতে খালি রয়েছে ২৫৭টি পদ। এর মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই শূন্যপদের সংখ্যা ১৭১টি। যার মধ্যে জাতীয় গ্রন্থাগারেই খালি রয়েছে ১৪৬টি পদ। সোমবার লোকসভায় লিখিতভাবে এ কথা জানিয়েছে সংস্কৃতিমন্ত্রক। এদিন লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি এই সংক্রান্ত একটি পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন। লিখিতভাবে তিনি জানিয়েছেন, সারা দেশে মোট সাতটি লাইব্রেরি রয়েছে সংস্কৃতিমন্ত্রকের আওতায়। কলকাতায় রয়েছে তিনটি। সেগুলি হল ন্যাশনাল লাইব্রেরি, রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশন এবং সেন্ট্রাল রেফারেন্স লাইব্রেরি।

সংস্কৃতিমন্ত্রকের আওতায় থাকা দেশের অন্য চারটি লাইব্রেরি হল, উত্তরপ্রদেশের রামপুরে রামপুর রাজা লাইব্রেরি, বিহারের পাটনায় খুদাবক্স ওরিয়েন্টাল পাবলিক লাইব্রেরি এবং নয়াদিল্লির দিল্লি পাবলিক লাইব্রেরি ও সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট লাইব্রেরি। কোন লাইব্রেরিতে কত পদ খালি রয়েছে? কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, সংস্কৃতিমন্ত্রকের অধীন উল্লিখিত সাত লাইব্রেরির মধ্যে সবথেকে বেশি শূন্যপদ রয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগারেই। এখানে মোট খালি পদের সংখ্যা ১৪৬টি। এদিন লোকসভায় পেশ করা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, জাতীয় গ্রন্থাগারে গ্রুপ-এ’র শূন্যপদ রয়েছে তিনটি। গ্রুপ-বি’র শূন্যপদের সংখ্যা ৩৩টি। এবং গ্রুপ-সি’র ক্ষেত্রে শূন্যপদ রয়েছে ১১০টি।

রাজ্যের অন্য দুই লাইব্রেরির হাল কীরকম? পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, কলকাতার সেন্ট্রাল রেফারেন্স লাইব্রেরিতে মোট শূপ্যপদের সংখ্যা ২২টি। এর মধ্যে অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন অফিসারের দু’টি, লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফর্মেশন অ্যাসিস্ট্যান্টের ১১টি এবং আপার ডিভিশন ক্লার্কের ন’টি পদ খালি রয়েছে।

তবে সামগ্রিক পরিস্থিতির বিচারে অবস্থা কিঞ্চিৎ ভালো কলকাতার রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনের। এখানে মোট শূন্যপদের সংখ্যা তিনটি। স্ট্যাটিসটিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট লেভেল ফাইভ, লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক লেভেল টু এবং স্টাফ কার ড্রাইভার লেভেল টু’র ক্ষেত্রে একটি করে পদ খালি রয়েছে। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর লোকসভায় পেশ করা পরিসংখ্যানে। স্বাভাবিকভাবেই এত শূন্যপদ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে চলেছে। যদিও কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি লোকসভায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন, ‘যখন যেমন শূন্যপদের সৃষ্টি হয়, কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত সেইমতো পদক্ষেপ নেয়। শূন্যপদের বিজ্ঞপ্তি জারি করে ক্ষেত্রবিশেষে তা পাঠানো হয় ইউপিএসসি/এসএসসি’র কাছে।’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Library

আরো দেখুন