এলাকার কাজ করতে হবে, পুরভোটের প্রচারে দলের প্রার্থীদের কড়া নির্দেশ মমতার
পুরভোটের প্রচারে প্রথম বার নেমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন বাংলার উন্নয়ন ছাড়া কোনও কিছুই তাঁর কাছে অগ্রাধিকার নয় ।
বিকেল সাড়ে চারটে । তৃণমূল নেত্রী আসছেন খবর ছিল আগে থেকেই । উত্তর কলকাতার প্রার্থীদের হয়ে আজ প্রচার করলেন নেত্রী । সভাস্থল ফুলবাগান । তিল ধারনের জায়গা নেই । পৌনে পাঁচটা । মঞ্চে উঠলেন নেত্রী । তুমুল করতালি । বুঝিয়ে দিল বাংলা বাংলার মেয়েকেই চায় ।
মঞ্চে উঠে বুঝিয়ে দিলেন, আজ বাংলা যা ভাবে, পরশু সেটা দেশের মানুষ ভাবেন । বললেন, “বাংলাই এখন গোটা দেশের সামনে নজির তৈরি করেছে । বাংলার কাজ গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়াই এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য । বাংলার মানুষ গর্ব করতে শিখিয়ে ।” ফুলবাগানে পুরভোটের প্রচারে মমতা দাবি করলেন, দেশের মধ্যে টিকাকরণে কলকাতা প্রথম । বহু মানুষের দ্বিতীয় ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে । পাশাপাশি তুলে ধরলেন স্বাস্থ্য সাথী, বিনামূল্য রেশন, দুয়ারে সরকারের কথা । বুঝিয়ে দিলেন, কী ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার রাজ্যের মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে ।
আজ কী বললেন মমতা, দেখে নিন এক ঝলকে:
•বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে
•বাংলার মানুষ আমাদের গর্ব করতে শিখিয়েছেন
•বিধানসভা ভোটে বিজেপি-কে জবাব দিয়েছে মানুষ, কৃতিত্ব বাংলার মানুষের
•স্থানীয় কোনও সমস্যা দেখার দায়িত্ব কাউন্সিলরের
•অনলাইনে আবেদন করলে ৭ দিনে অনুমতি
•মা মাটি মানুষকে প্রণাম জানাই
•বাংলা আজ যা করে, দুনিয়া কাল তা করে
•বাংলা একটি ঐতিহাসিক জায়গা
•বাড়ির প্ল্যানের অনুমতি অনলাইনে পাওয়া যায়
•এরাজ্যে জলের জন্য কর দিতে হয় না
- বাড়ি তৈরির সামগ্রী মানুষ কোথা থেকে কিনবে তা কাউন্সিলর ঠিক করবে না। আমার এলাকায় ঘর করবেন, এটা দিতে হবে, এটা চলবে না।
- এখন বাড়ির প্ল্যানের অনুমতি অনলাইনে হয়ে গেছে। আগামী দিনে যা দরকার, অনলাইনেই চাইবেন। ৭দিনে হবে, এটা আমি চাই।
*কোনও জায়গায় বিপদ হলে কাউন্সিলর প্রথমে ছুটে যাবে। যিনি এসব দেখতে পারবেন না, তিনি কাউন্সিলর হবেন না।
- অনেক পুরনো কাউন্সিলরকে টিকিট দেওয়া হয়নি । কারণ কাজের নিরিখে বিচার করে টিকিট দেওয়া হয়েছে ।